দু’বেলা ঠিকমত খাবার জোটে না পিতৃহারা মেয়েটার। মা রাজমিস্ত্রীর জোগাড়ের কাজ করে যা রোজগার করেন, তাতে ৩ জনের সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হয়। এই পরিস্থিতিতেও কঠোর অনুশীলনের ফল পেয়েছে দুর্গাপুরের সুকান্ত পল্লীর মেয়ে মমতা হাঁসদা। সম্প্রতি শেষ হয়েছে রাজ্যস্তরের ক্যারাটে প্রতিযোগিতা। তাতে ১৮-২০ বছর বয়সী বিভাগে প্রথম হয়ে সোনা জিতেছে মমতা। এতেই জোগাড় করে নিয়েছে জাতীয় স্তরে লড়াইয়ের টিকিট। দিল্লিতে হবে সেই প্রতিযোগিতা। সেই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে গেলে সরঞ্জাম সহ অন্যান্য খরচের জন্য যে টাকার প্রয়োজন তা জোগাড় করতে হিমসিম মামতার পরিবার।
দুর্গাপুরের সুকান্ত পল্লীর এক চিলতে কুঁড়ে ঘরে মা ও দিদিকে নিয়ে থাকে মমতা। বাবা গত হয়েছেন বেশ কয়েক বছর আগেই। স্থানীয় রায়রাণি হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। স্কুলের সেল্ফ ডিফেন্স ক্লাসের মাধ্যমেই শুরু ক্যারাটে শিক্ষা। সেটাকেই আঁকড়ে ধরে এগিয়ে যেতে চায় হতদরিদ্র পরিবারের মেয়েটি। ইতিমধ্যেই স্থানীয় ও অন্যান্য রাজ্যের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বেশ কিছু পদক কুড়িয়ে নিয়েছে মমতা। মমতার স্বপ্ন অলিম্পিকে অংশ নেওয়া। সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে শত অভাব সত্বেও অনুশীলনে কোন খামতি নেই মমতার। মেয়ের গর্বে গর্বিত হয়েও মা সুমিতা দেবীর চিন্তার অন্ত নেই, মেয়েকে জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিল্লি পাঠাতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন বেশ কয়েক হাজার টাকা।