সাংবাদিক, সাধুর পর এবার রাত পাহারাদাররা ছেলেধরা সন্দেহে এক পথ ভোলা সেনা জওয়ানকে বুধবার রাতে দুর্গাপুরের সগড়ভাঙার ভৈরবতলায় রাতের অন্ধকারে পথ আটকে হেনস্থা করল বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে কোকওভেন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিগৃহীত সেনা জওয়ানকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
জানা গেছে, দুর্গাপুরের কোকওভেন থানা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় গুজবে কান দিয়ে বেশ কিছু মানুষ ছেলেধরা সন্দেহে অচেনা মানুষজনকে এলাকায় দেখলেই হেনস্থা করছে। গুজব এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে এক শ্রেণির মানুষ লাঠিসোটা হাতে রাত পহরা দিচ্ছে। আর রাতে কোন অচেনা মানুষকে এলাকায় দেখলেই তাঁর পথ আটকে হেনস্থা করছে এক শ্রেণির মানুষ। মঙ্গলবার রাতে এক ইংরেজি দৈনিকের কলকাতার সাংবাদিক তাঁর পৈতৃক বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মাকে দেখতে এসে রাত পাহারাদারদের হাতে ছেলে ধরা সন্দেহে আক্রান্ত হন। খবর পেয়ে কোকওভেন থানার পুলিশ এসে সেই সাংবাদিককে উদ্ধার করে। মঙ্গলবার রাতে দুর্গাপুর স্টেশন বাজার এলাকায় এক সাধুকে ছেলেধরা সন্দেহে আটক করে মারধর করে বেশ কিছু মানুষ। পুলিশ এই ঘটনায় ছয় জনকে গ্রেফতার করে।
সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বুধবার রাতে দুর্গাপুরের সগড়ভাঙার ভৈরবতলা এলাকায় এক সেনা জওয়ানকে রাতে একা পেয়ে ছেলেধরা সন্দেহে আটক করে স্থানীয় মানুষ হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার করে সেনা জওয়ানকে। জানা গেছে, সেনা জওয়ান রাজস্থানী ভাষায় কথা বলায় বিপত্তি বাড়ে। ওই সেনা জওয়ান পরিচয় পত্র দেখানো সত্ত্বেও তাঁকে স্থানীয়রা ছাড়েনি বলে জানা গেছে। পুলিশ গিয়ে উত্তেজিত জনতার রোষানলে পড়ে। পুলিশ সব বাধা অতিক্রম করে সেনা জওয়ানকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ-প্রশাসন থেকে বারবার গুজবে কান না দিয়ে আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার কথা বললেও আদপে সেকথায় কান না দিয়ে এক শ্রেণির মানুষ এলাকায় বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলে পুলিশের ধারণা।