দুর্গাপুরের ৪০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুভাষ মজুমদার আক্রান্ত হলেন। কালি মিশ্র নামে এক দুষ্কৃতি কাউন্সিলর সুভাষ মজুমদারের উপর খুর নিয়ে আক্রমণ চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুরের গ্যামন ব্রিজ এলাকায়। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো বুধবার সন্ধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর সুভাষ মজুমদার গ্যামন ব্রিজ এলাকায় বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন। সেই সময় একটি স্কুটি নিয়ে এসে কালি মিশ্র অতর্কিতে কাউন্সিলারের গলায় খুর চালানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। কাউন্সিলর সুভাষ মজুমদার বাধা দিতে গেলে ধারালো খুরে তাঁর হাতের আঙ্গুল কেটে রক্তাক্ত হয়। কাউন্সিলারকে বাঁচাতে গিয়ে আরও দু’জন আহত হন বলে অভিযোগ। এরপরই প্রত্যক্ষদর্শী এবং দলীয় কর্মীরা অভিযুক্ত কালি মিশ্রকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় বলে জানা গেছে। পুলিশ আহত কালি মিশ্রকে আটক করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে।

এদিকে, আহত কাউন্সিলর সুভাষ মজুমদারকে চিকিৎসার জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গেছে, প্রাথমিক চিকিৎসার পর কাউন্সিলর সুভাষ মজুমদারকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সুভাষ মজুমদারের অভিযোগ, এক সময় কালি মিশ্র তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী ছিল। বর্তমানে সে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতি। বিজেপি নেতাদের নির্দেশে তাই বদলা নিতে খুর দিয়ে খুন করতে এসেছিল।

স্থানীয় বিজেপি নেতা তাপস নায়েক অবশ্য তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এটা খুবই নিন্দনীয় ঘটনা। বিজেপি এইসব জঘন্য কাজের সঙ্গে কোন ভাবেই যুক্ত নয়। কালি মিশ্র নামে কেউ আমাদের দলের সদস্য নেই। কালি মিশ্র তৃণমূল কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ কর্মী। এটা তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দলের ফল।’ একদিকে আহত কাউন্সিলর সুভাষ মজুমদার ও স্থানীয় বিজেপি নেতা তাপস নায়েকের পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেলেও যাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা সেই অভিযুক্ত কালি মিশ্রের খবর সংগ্রহ করা পর্যন্ত কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কালি মিশ্রের বক্তব্য পাওয়া গেলে ঘটনার পরিষ্কার চিত্র উঠে আসবে বলে অনেকেই মনে করছেন।

বর্ধমান ডট কম-এর খবর নিয়মিত আপনার ফেসবুকে দেখতে চান?

Like Us On Facebook