দুর্গাপুরের ১৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা স্বাস্থ্য দফতরের মেয়র পারিষদ রাখি তেওয়ারির উপর শুক্রবার সকালে ৯টা নাগাদ এক দুষ্কৃতী বাড়িতে এসে হামলা করে। জানা গেছে, ওই দুষ্কৃতী পিস্তল বের করে মেয়র পারিষদ রাখি তেওয়ারিকে গুলি করতে গেলে রাখি তেওয়ারি ওই দুষ্কৃতীর হাত ধরে ফেলায় ওই দুষ্কৃতীর পক্ষে গুলি করা সম্ভব হয়নি। দুষ্কৃতীর হাত চেপে ধরায় ওই দুষ্কৃতী রাখি তেওয়ারির হাতের আঙ্গুলে কামড়ে দেয়। তবে রাখি তেওয়ারির চিৎকারে পড়শীরা এসে ওই দুষ্কৃতীকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মেয়র পারিষদ সহ গোটা এলাকার মানুষজন।
শুক্রবার সকালে এই খবর চাউর হতেই দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়ায়। এই ঘটনার পর আতঙ্কিত রাখি তেওয়ারি বলেন, ‘এদিন সকালে এক অজ্ঞাত পরিচয় যুবক আমার বাড়িতে আসে। তার হাতে একটি ফাইল ছিল। আমার স্বামীর নাম করে বলে রাখুদার সঙ্গে দরকার আছে। কোন লাইসেন্স সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলতে এসেছে বলে জানায় ওই যুবক। এরপরেই হঠাৎ করে আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। তারপর পিস্তল বের করে আমার দিকে তাক করতে গেলে আমি ওই যুবকের হাত ধরে ফেলি এবং চিৎকার করতে থাকি। এরপরেই ওই যুবকটি পালাবার জন্য আমার হাতের আঙ্গুলে কামড়ে দেয়। ঘটনার সময় বাড়িতে আমার স্বামীও ছিল না।’ আতঙ্কিত রাখি তেওয়ারি আরও বলেন, ‘আমি ওই অজ্ঞাত পরিচয় যুবকের হাতটা না ধরে ফেললে আমাকে গুলি করে খুন করে দিত।’ রাখিদেবীর উপর এই হামলার খবর পেয়ে রাখি তেওয়ারির স্বামী কৌশিক তেওয়ারি বাড়িতে ছুটে আসেন। কৌশিক তেওয়ারি বলেন, ‘কিছু বুঝে উঠতে পারছিনা। ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।’
আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের দুর্গাপুরের ডিসিপি(পূর্ব) অভিষেক মোদী বলেন, ‘অভিযুক্ত যুবকের নাম পবন প্রধান। সে একজন কেবল অপারেটর। তার কাছ থেকে একটি পিস্তল, একটি পাইপগান সহ বেশ কিছু কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ গোটা ঘটনার পিছনে কি কারণ রয়েছে তা তদন্ত করে দেখছে।’