৯ নভেম্বর মানকর রেল স্টেশনের কাছে নর্দমা থেকে অজ্ঞাত পরিচয় যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। ১৩ নভেম্বর ওই মৃতদেহের সনাক্ত করনে মৃতদেহের পরিচয় জানা গেল। জানা গেছে ওই মৃতদেহটি দুর্গাপুরের গ্রাফাইট ইন্ডিয়া কারখানার স্থায়ী কর্মী দীপঙ্কর দেবনাথের (৩২)। ৬ নভেম্বর দীপঙ্কর দেবনাথ গ্রাফাইট ইন্ডিয়া কারখানায় বি-শিফটে কর্মরত অবস্থায় নিখোঁজ হয়ে যান। কারখানার মেনগেটের হাজিরা রেকর্ড অনুযায়ী জানা গেছে, দীপঙ্কর দেবনাথ দুপুর ১ টা ৫৮ তে কারখানায় ‘ইন’ করেন। তারপর সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ চা খেতে বের হয়ে নিখোঁজ হয়ে যান। কারখানার ভিতর দীপঙ্কর দেবনাথের কাজের জায়গায় তাঁর জুতো ও বাইক পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।
দীপঙ্করবাবু কারখানায় গিয়ে আর না ফেরায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পরিবারের লোকজন। পরে মানকরে নর্দমার মধ্যে এক অজ্ঞাত পরিচয় যুবকের মৃতদেহ পাওয়া যায়। মৃতদেহের মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে জানা গেছে। পরে দীপঙ্কর দেবনাথের পরিবারের লোকজন ওই মৃতদেহ দীপঙ্করের বলে সনাক্ত করেন। দীপঙ্কর দেবনাথের দাদা দিবাকর দেবনাথের অভিযোগ, দীপঙ্করকে পরিকল্পনা করে কারখানায় খুন করে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করে কেউ বা কারা। তাই দীপঙ্করের দেহ কারখানা থেকে দীর্ঘ পথ পেরিয়ে মানকর রেল স্টেশনে ফেলা আসে কেউ বা কারা। দিবাকরবাবুর প্রশ্ন, দীপঙ্কর কার্ড পাঞ্চ করে ডিউটিতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গেল আর কারখানা কর্তৃপক্ষ এখনও পর্যন্ত চুপ কেন? কর্তৃপক্ষের কি কোন দায় নেই? দিবাকর দেবনাথ কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও আঙ্গুল তুলে বলেন, ‘কারখানায় কোন দুর্ঘটনার শিকার হয়েও দীপঙ্করের মৃত্যু হতে পারে। কারখানা কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ দেওয়া এড়াতে প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ সরিয়ে ফেলতে পারে।’ দীপঙ্কর দেবনাথের পরিবার গোটা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি তুলেছেন। এদিকে জানা গেছে, যতক্ষণ না দীপঙ্করের মৃতদেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাচ্ছে, দীপঙ্কর দেবনাথের পরিবার ততক্ষণ দীপঙ্করের দেহ সৎকার করবে না।