যেন সঙ্গীত শিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তীর সেই বিখ্যাত বৃদ্ধাশ্রমের গানের বাস্তব রূপ এখানে করা হয়েছে। মণ্ডপের একদিকে পাখির বাসা যেখানে পাখির বাচ্চাকে পাখির মা ঠোঁটে করে খাইয়ে দিচ্ছে। অপরদিকে মানুষরূপী ছেলে-বৌমা বৃদ্ধা মাকে বৃদ্ধাশ্রমে নিয়ে যাচ্ছে। দুই বিপরীত চিত্র নিখুঁত ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন রবীন্দ্র ভারতীর ছাত্র বিশিষ্ট শিল্পী চঞ্চল আচার্য ও তাঁর সহশিল্পীরা। দুর্গোৎসবে মায়ের আরাধনায় তাই বাস্তবিক অর্থে নিজের মাকেই শ্রদ্ধা, ভক্তি ও পুজো করার একটা বার্তা দিতে ২৭ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে দুর্গাপুরের ফুলঝোড় সার্বজনীন দুর্গোৎসব পুজো কমিটি এবছর ১৫ লক্ষ টাকা বাজেটের বৃদ্ধাশ্রমকে থিম করে মা যে আমাদের শ্রেষ্ঠ সম্পদ তা সমাজের প্রতিটি মানুষকে বোঝাতে চেয়েছেন তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
এখানে বৃদ্ধাশ্রম ও পাখির বাসার মাধ্যমে তুলনামূলক বিভিন্ন দৃশ্যাবলী তুলে ধরে ফুলঝোড় সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি এবছর একটি বিশেষ মানবিক বার্তা দিতে চায় বলে জানান পুজো কমিটির সম্পাদক শ্যামল রায় ও সহ-সম্পাদক রাহুল রায়। মণ্ডপের প্রস্তুতি শেষ পর্বে। মণ্ডপের থিম অনুযায়ী মানানসই মূর্তি তৈরি হচ্ছে। সঙ্গে মনমাতানো আলোর খেলাও থাকছে। মা ছাড়া যে পৃথিবীটা সম্পূর্ণ নয় সেটাকেই বোঝাতে মন্ডপটি অর্ধ পৃথিবীর রূপ দেওয়া হয়েছে বলে জানান পুজো কমিটি সম্পাদক ও সহ-সম্পাদক।