পেট্রোপণ্য সহ নিত‍্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল‍্যবৃদ্ধি ও কেন্দ্র সরকারের জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে সোমবারের ভারত বন্‌ধে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় মিশ্র প্রভাব পড়ে। আজ দুর্গাপুরের কিছু জায়গায় দোকানপাট বন্ধ ছিল। অফিস-কাছারি-কলকারখানায় শ্রমিকদের উপস্থিতর হার অন‍্য দিনের মতো স্বাভাবিক ছিল।

এদিন বন্‌ধ সমর্থক সিপিএম কর্মীরা দুর্গাপুর রেল স্টেশনে জোর করে ঢুকে রেল অবরোধ করতে গেলে বন্‌ধ সমর্থক সিপিএম কর্মীদের সঙ্গে দুর্গাপুর স্টেশনে পুলিশ ও রেল পুলিশের ব‍্যাপক ধস্তাধস্তি হয়। পুলিশ কুড়ি জন বন্‌ধ সমর্থক সিপিএম কর্মীকে আটক করে। তবে বাস ও মিনিবাস চলাচল স্বাভাবিক হলেও অনেক জায়গায় প্রয়োজনীয় যাত্রীর অভাবে বাসগুলি প্রায় খালি যাতায়াত করতে থাকে।

সোমবার সকালে বন্ধের সমর্থনে সিপিএম কর্মীরা মায়া বাজারে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেসকে প্রায় ৪ মিনিট আটকে রাখে পরে আরপিএফ ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ বন্‌ধ সমর্থকদের হটিয়ে দিলে ফের অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস যথারীতি গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যায়। এদিন সিপিএম কর্মীদের সঙ্গে সঙ্গে কংগ্রেস কর্মীরাও পথে নেমে বন্ধের সমর্থনে বিভিন্ন পেট্রল পাম্পে পিকেটিং করে এবং মিছিল বের করে। সোমবার ভারত বন্‌ধের সমর্থনে কংগ্রেস কর্মীরা পানাগড় বাজারে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। পরে পুলিশ তাদের হটিয়ে দেয়।



Like Us On Facebook