ছাত্র ভর্তিতে তোলাবাজি বন্ধে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া অবস্থানকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ফের শাসক দলের এক ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে কলেজে ছাত্র ভর্তির অভিযোগ উঠল। আর এই ঘটনায় সরাসরি অভিযোগ পেয়েও লিখিত অভিযোগ না পাওয়ায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ উঠল সিটি সেন্টার ফাঁড়ির কর্তব্যরত পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনায় খবর ছড়িয়ে পড়তেই পশ্চিম বর্ধমান জেলার বাম ছাত্র সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মৈনাক চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাম কর্মীরা দুর্গাপুর মহকুমা শাসক ডঃ শ্রীকান্থের কাছে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানায়। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব এটিকে সিপিএমের ষড়যন্ত্র বলে পাল্টা অভিযোগ করেন।
মাইকেল মধুসূদন কলেজে কলেজের এক ছাত্র নেতার নামে অভিযোগ করেন বিনয় লোহানি নামের এক ছাত্র। অভিযোগকারী প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য নাকি মাইকেল মধুসূদন কলেজে যেতেই ওই ছাত্র নেতা তাকে পরে মোবাইলে যোগাযোগ করতে বলে বলে অভিযোগ। বিনয় লোহানির অভিযোগ, মোবাইলে প্রথমে ফোনে কথপকথন হয়। পরে হোয়াটস অ্যাপে বিনয় লোহানির ভর্তির দর কষাকষি হয় এবং সাত হাজার টাকায় রফা হয় বলে অভিযোগ। বিনয় হোয়াটস অ্যাপে টাকা চাওয়ার প্রমাণ সোমবার দুর্গাপুরের সংবাদ মাধ্যমকে দেখানোর পর কার্যত ওই ছাত্র নেতা সংবাদ মাধ্যমের চাপে বিনয়ের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কথা ঘুরিয়ে হলেও স্বীকার করে নেয়। সমস্ত ঘটনা পুলিশকে জানলেও অভিযোগকারী লিখিত অভিযোগ না করায় পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র নেতা সিপিএমের সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন এক ছাত্র নেতার চক্রান্ত বলে পাল্টা অভিযোগ করেন। এই ঘটনায় দুর্গাপুরের ছাত্র মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।