দুর্গাপুর পৌরসভার হোর্ডিং কেলেঙ্কারির ঘটনায় যুক্ত কর্মীদের শাস্তি স্বরূপ দুর্গাপুর পৌরসভার প্রধান কার্যালয় থেকে বরো আফিসে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে এক চা-চক্রে একথা বলেন দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র দিলীপ অগস্তি।
দিলীপবাবু বলেন, দুর্গাপুর পৌরসভায় বিগত বোর্ডের সময় হোর্ডিং বাবদ এক কোটি বারো লাখ টাকা পুরসভার কোষাগারে জমা পড়েনি। বিভিন্ন এজেন্সির কাছে বকেয়া টাকা জমা দেবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হোর্ডিং কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত কয়েক জন পুরকর্মীকে পৌরসভার প্রধান কার্যালয় থেকে বরো অফিসে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান মেয়র। মেয়র বলেন, হোর্ডিংয়ের অনাদায়ী টাকা আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দুর্গাপুর পৌরসভায় দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন মেয়র।
উল্লেখ্য, বর্তমান পুরবোর্ড ক্ষমতায় আসার পর দুর্গাপুর পুর এলাকার হোর্ডিং কেলেঙ্কারি প্রকাশ্য আসে। মেয়র দিলীপ আগস্তি তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের চিহ্নিত করার নির্দেশ দেন। তদন্ত কমিটির নজরে আসে যেসব পুরকর্মী এবং দলীয় কর্মী পুরসভার হোর্ডিং দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন তাঁরা পুরসভাকে অন্ধকারে রেখে হোর্ডিংয়ের সংগৃহীত টাকা আত্মসাৎ করেছেন। রিপোর্ট হাতে আসতেই মেয়র দিলীপ আগস্তি দুর্নীতিপরায়ণ দের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেন।
বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর পুরসভার কনফারেন্স হলে দুর্গাপুর পুরসভার কমিশনার অমিতাভ দাস সহ অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে মেয়র দুর্গাপুর পুরসভার সাম্প্রতিক উন্নয়নের বিভিন্ন খতিয়ান তুলে ধরেন। দুর্গাপুর পুরসভার উন্নয়ের যে খতিয়ান মেয়র তুলে ধরেন সেগুলি হল…