রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে বুধবার পূর্ব বর্ধমান জেলায় মোট ১৭টি বুথে পুনর্নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল। কমবেশী প্রতিটি বুথেই এদিন প্রায় ১০০ আবার কোথাও ১৫০-রও বেশি পুলিশ এবং তার সঙ্গে পুলিশের আধিকারিকদেরও হাজির থাকতে দেখা গেল। সাধারণ মানুষ তাই নির্ভয়েই ভোট দিলেন। যদিও কেউ কেউ জানালেন সোমবারের ঘটনার জন্য তাঁরা কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে ভোটের লাইনে এসে দাঁড়িয়েছেন। তবে এদিন বুথগুলি পুলিশে মুড়ে দেওয়ায় তাঁরা কিছুটা স্বস্তিও পেয়েছেন।
বর্ধমান ১নং ব্লকের তালিতের ১৭নং বুথে সোমবার ব্যাপক ছাপ্পা ভোট, ব্যালট লুঠের অভিযোগ ওঠে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন তালিতের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে পুনর্নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল। এদিন সকাল থেকেই এলাকার মানুষেরা লাইনে দাঁড়িয়ে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করলেন। তালিতের এই বুথেই ভোট দিলেন ৮৩ বছরের রাহিলা সেখ। শারীরিক কষ্টকে উপেক্ষা করেই পুত্রবধুকে সঙ্গে নিয়ে এদিন তিনি যথারীতি ভোট দিয়ে জানালেন ভোট দিয়ে খুশী।
উল্লেখ্য, এই বুথে পঞ্চায়েত সমিতির আসনে তৃণমূল প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হলেও গ্রাম পঞ্চায়েত ও জেলা পরিষদের আসনে লড়াই হচ্ছে বিজেপি ও নির্দলের সঙ্গে শাসকদলের। এরই পাশাপাশি তালিতে নির্দল প্রার্থীর সমর্থক বাবলু দাসের সেলুনে মঙ্গলবার রাতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে থাকলেও তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা পরিষদের প্রার্থী নুরুল হাসান জানিয়েছেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল মোটেও জড়িত নয়। তাঁরা শুনেছেন শর্ট সার্কিট থেকেই ওই দোকানে আগুন লাগে।
অপরদিকে, এদিন ওড়গ্রাম আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুটি বুথেও এদিন শান্তিতে পুনর্নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার এই দুটি বুথে ব্যাপক বোমাবাজি এবং ব্যালট বাক্স লুঠ করার অভিযোগ ওঠে। সোমবার মেমারি ১ ও ২-এর যে সমস্ত বুথে রীতিমত তাণ্ডবের চিহ্ন দেখা গিয়েছিল এদিন দেখা গেছে তার উল্টো চিত্র। একই অবস্থা গলসির বাহিরঘন্যার ২টি বুথেও। তবে এদিন কোনো বুথেই শাসকদল ছাড়া অন্য কোনো দলের বুথ এজেণ্টকে দেখা যায়নি।