সোমবার দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসনের নতুন প্রশাসনিক ভবনের নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন হল। উদ্ধোধন করলেন আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তাপস বন্দোপাধ্যায়। উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এডিডিএর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার এস অরুন প্রসাদ, দুর্গাপুরের মহানাগরিক দিলীপ অগস্তি, দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা সহ দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসনের সমস্ত আধিকারিক ও কর্মীরা।
দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা নতুন প্রশাসনিক ভবন পেয়ে আনন্দে আপ্লুত হয়ে বলেন, প্রথম যেদিন দুর্গাপুরে মহকুমাশাসক হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিলাম সেদিন মহকুমা প্রশাসন ভবনের স্বল্প পরিসরে কিভাবে এত কর্মী কাজ করছে এটা ভাবতেই বড় কষ্ট হচ্ছিল। মহকুমাশাসক আরও বলেন, আমার মনে হচ্ছিল এটা কোন প্রশাসনিক ভবন নয়, একটি রেলস্টেশনে অপেক্ষা করছি। এখানে প্রতিদিন দুর্গাপুর মহকুমার প্রচুর মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে আসেন অথচ একটু বসারও জায়গা নেই। এরপরই আমি এডিডিএ’র চেয়ারম্যান ও তৎকালীন এডিডিএ’র সিইওকে দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসনের জন্য নতুন ভবনের প্রস্তাব দিই। এডিডিএ’র চেয়ারম্যান ও সিইও বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে দ্রুত নতুন ভবনের স্কেচ তৈরি করে ১১ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকা বাজেট তৈরি করে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য পাঠান। মহকুমাশাসক আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রীও অনুমোদন দিয়েছেন মাত্র ২১ দিনের মাথায়। এদিন মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা মুখ্যমন্ত্রীকেও আলাদা ভাবে প্রশাসনিক ভবনের মাত্র ২১ দিনের মধ্যে গুরুত্ব বিবেচনা করে বাজেট অনুমোদন করায় কৃতজ্ঞতা জানান।
দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা বর্ধমান ডট কমকে বলেন, আগেই মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসনের প্রশাসনিক ভবনের শিলান্যাস করেছেন। সোমবার দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসনের নতুন ভবনের আনুষ্ঠানিক ভাবে নির্মাণ কাজ শুরু হল। মহকুমাশাসক বলেন, আশা করছি এক বছরের মধ্যেই নতুন ভবন নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।
এদিন প্রশাসনিক ভবনের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করে এডিডিএ’র চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসনের নতুন প্রশাসনিক ভবনের অত্যাধুনিক ডিজাইনের স্কেচ করা হয়েছে। নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হলে এটি দুর্গাপুরের অন্যতম চোখ ধাঁধানো প্রশাসনিক ভবন হবে। দুর্গাপুরের মহানাগরিক দিলীপ অগস্তিও দুর্গাপুরের মানুষ নতুন প্রশাসনিক ভবন পাওয়ায় খুশির কথা জানান।