কলকাতার মোহনবাগান ইস্টবেঙ্গলের মতই চির-প্রতিদ্বন্দ্বী দুর্গাপুরের দুই দুর্গাপুজো কমিটি ভিড়িঙ্গীর নবারুণ ক্লাব ও বেনাচিতির অগ্রণী সাংস্কৃতিক পরিষদ। দুর্গাপুজোয় দুই যুযুধান ক্লাব বরাবরই একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার চেষ্টা করে।
দীর্ঘ ২৫ বছর পর প্রশাসনিক অনুমতিতে দুর্গাপুরের চির প্রতিদ্বন্দ্বী দুই ক্লাব নবারুণ ও অগ্রণী সাংস্কৃতিক পরিষদের দুর্গাপুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রা আজ বুধবার সন্ধ্যায় নাচনরোড় ধরে বের হচ্ছে। বিসর্জনকে কেন্দ্র করে বিসর্জনের শোভাযাত্রায় প্রতিবছরই কিছু না কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে থাকায় প্রশাসন উদ্বিগ্ন হয়ে বিসর্জনের শোভাযাত্রার অনুমতি দেওয়া বন্ধ করে দেয়। দীর্ঘ ২৫ বছর পর দুটি ক্লাবেই বুধবার সকাল থেকেই বিসর্জনের শোভাযাত্রার প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। দুই ক্লাব সুত্রেই জানা গেছে, প্রথমে অগ্রণী সাংস্কৃতিক পরিষদের বিসর্জনের শোভাযাত্রা ভিড়িঙ্গী মোড় থেকে প্রান্তিকা যাবে এর কিছুক্ষণ পর নবারুণ ক্লাবের বিসর্জনের শোভাযাত্রা বের হবে নাচন রোড ধরে প্রান্তিকা পৌঁছবে এর পর নবারুণের শোভাযাত্রা দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপ ঘুরে পূর্বের ন্যায় দামোদরের ব্যারেজে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হবে বলে জানা গেছে নবারুণ ক্লাব সুত্রে। বাহুবলীর বিভিন্ন দৃশ্যাবলী বিসর্জনের শোভাযাত্রায় তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন অগ্রণী সাংস্কৃতিক পরিষদের সদস্যরা।
দুর্গাপুরের ঐতিহ্যবাহী এই দুই ক্লাবের এবছর সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষ। নবারুণ ক্লাব দক্ষিণের মিনাক্ষী মন্দিরের আদলে মন্ডপ সজ্জা করেছিল। আর অগ্রণী সাংস্কৃতিক পরিষদ দক্ষিণের সুপারহিট ছবি বাহুবলী ছবির আদলে মন্ডপ তৈরি করে। দুই ক্লাবের বিগ বাজেটের পুজোকে ঘিরে দর্শকদের প্রচুর উন্মাদনা এবছর। স্বাভাবিক ভাবেই ঐতিহ্যবাহী দুই ক্লাবের ২৫ বছর পর বিসর্জনের শোভাযাত্রা দেখতে দর্শকদের কৌতুহল এখন তুঙ্গে। প্রশাসনিক শর্তাবলী মেনে কোন্ ক্লাব বিসর্জনের শোভাযাত্রায় কতটা শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখে সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।
দেখুন নবারুণ ও অগ্রণীর বিসর্জনের শোভাযাত্রা