বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে বাম, কংগ্রেস সহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকা দু’দিনের ভারত বন্‌ধের প্রথম দিন মঙ্গলবার দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে তেমন কোন প্রভাব পড়ল না। বন্‌ধের প্রথম দিনের ভোর বেলাতে শিল্পাঞ্চলের কলকারখানায় শ্রমিকরা কাজে যোগ দেন। শিল্পনগরী দুর্গাপুরের স্কুলগুলিতেও ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। রাস্তাঘাট, রেলস্টেশনেও যাত্রীদের দেখা যায় অন্যদিনের মতো স্বাভাবিক ভাবেই। দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের বাস স্ট্যান্ড থেকে দূরপাল্লার সরকারি ও বেসরকারি বাসগুলিও অন্যদিনের মতো স্বাভাবিক ভাবেই ছাড়ে।

এদিকে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সামাল দিতে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে কড়া পুলিশি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বন্‌ধ ব্যর্থ করতে ও কারখানার উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে ভোর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসিও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার সামনে পিকেটিং শুরু করে।

খবর সংগ্রহ করা পর্যন্ত শিল্পাঞ্চলের কোথাও বড় কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি তবে বাম কর্মীরা বন্‌ধ সফল করতে মঙ্গলবার ভোর থেকেই রাস্তায় নেমেছেন। পানাগড়েও সিপিএম কর্মীরা মঙ্গলবার সকালে রাস্তায় নামেন বন্‌ধ সফল করতে। দুর্গাপুরের সগড়ভাঙায় বামপন্থীরা মঙ্গলবার রেল অবরোধ করলে পুলিশ বন্‌ধ সমর্থনকারীদের গ্রেফতার করে রেল পথ অবরোধ মুক্ত করে। অণ্ডালের কাজোড়াতেও সিটু কর্মীরা রেল অবরোধ করার চেষ্টা করলে পুলিশ অবরোধকারীদের গ্রেফতার করে। দুর্গাপুরের ডিসিপি অভিষেক মোদী বলেন, ‘দুর্গাপুরে রেল অবরোধের চেষ্টা করায় চল্লিশ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’ এদিকে দুর্গাপুরের সিপিএম নেতৃত্বের দাবি দুর্গাপুর মহকুমার বিভিন্ন এলাকা থেকে শতাধিক বন্‌ধ সমর্থককে পুলিশ আটক করেছে।



Like Us On Facebook