হোলির পর বিষাদ নেমে এলো দুর্গাপুরে। সোমবার দুপুরে জনা দশেক কিশোর দামোদর ব্যারেজের জলে স্নান করতে গিয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। জানা গেছে, দামোদরের জলে স্নান করতে নামলে আট কিশোর তলিয়ে যেতে থাকে। তাঁদের মধ্যে চার জনকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বাকি চার জন তলিয়ে যায়। পরে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে হোলি খেলার পর দামোদরের জলে স্নান করতে নামে দশ জন কিশোর। তাদের বয়স বার থেকে চৌদ্দ বছর মতো। জলে নেমে তলিয়ে যায় ৪ জন কিশোর। মৃত এক কিশোরের নাম অভিরাজ, ১৩ বছরের এই কিশোর দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার অন্তর্গত করঙ্গপাড়া এলাকার বাসিন্দা। বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যাম স্কুলের অষ্ঠম শ্রেণির ছাত্র অভিরাজ। খবর সংগ্রহ করা পর্যন্ত বাকি তিন জনের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
জানা গেছে, সোমবার সকালে হিলি খেলে করঙ্গপাড়া থেকে সাত কিশোর দুর্গাপুর ব্যারেজে দামোদর নদে স্নান করতে নেমেছিল। তারপর আরও ৩ জনের একটি দল আসে ওই ঘাটে স্নান করতে। সকলেই দুর্গাপুরের কড়ঙ্গ পাড়ার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। পরে আসা ৩ জন স্নান করতে নেমে জলে ডুবে যেতে থাকলে অভিরাজ শর্মা নামে এক কিশোর তাদের বাঁচাতে গেলে সেও ডুবে যায়।
করঙ্গপাড়া এলাকার সাত সদস্যের মধ্যো একজন চিন্টু সাউ জানায়, পরে আসা তিন জনকে ডুবতে দেখে অভিরাজ শর্মা বাঁচাতে গেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় মানুষ চার কিশোরকে উদ্ধার করে। তাদের দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। গোটা ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়। মৃত দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ।
রবিবার দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের রিকল পার্কের সৌরদীপ্ত দাশগুপ্ত(২১) নামে এক যুবক দামোদর ব্যারেজের জলে ডুবে মারা যায়। জানা গেছে, এক যুবককে জলে তলিয়ে যেতে দেখে সৌরদীপ্ত দামোদর ব্যারেজের জলে ঝাঁপ দিয়ে তাকে বাঁচাতে গেলে সেই যুবক বেঁচে গেলেও সৌরদীপ্ত দামোদর ব্যারেজের জলে তলিয়ে যায়। সৌরদীপ্তর বাবা দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার প্রাক্তন কর্মী। মা দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শিক্ষিকা।