দুর্গাপুরের বেনাচিতির হোলি মডেল স্কুলের ৩৩ বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বার্ষিক অনুষ্ঠানে কচিকাঁচারা বিভিন্ন ডান্স, গীতি নাট্যের মধ্য দিয়ে শিশু শ্রমের প্রতিবাদ একই সঙ্গে শিশু শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে, একই সঙ্গে প্রভু যীশু আবির্ভাব বড় দিন মঞ্চস্থ করে। পাশাপাশি ছাত্র ছাত্রীদের পরিবারের বরিষ্ঠদেরও স্কুল কর্তৃপক্ষ বিশেষ সম্মান জানান একই মঞ্চে। বৃহস্পতিবার স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা দিবসে ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক থেকে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও স্কুল কর্তৃপক্ষ আনন্দ উৎসবে ভাসল।
দুর্গাপুরের স্টিল টাউনশিপ এ-জোনের নেতাজি ভবনে বৃহস্পতিবার দুপুরে এভাবেই কচিকাঁচাদের চাঁদের হাট বসে। ১৯৮৪ সালে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ স্বর্গীয় আব্দুল করিম ও সুরেখা করিম সমাজে সার্বিক শিক্ষা প্রসারের উদ্দেশ্যে দুর্গাপুরের বেনাচিতির নব পল্লীর দুর্গাপুর ইউনাইটেড চার্চ কম্পাউন্ডে কয়েকজন কচিকাঁচাকে নিয়ে শিশু শিক্ষার একটি স্কুল চালু করেন। সেই স্কুলই আজ তেত্রিশ বর্ষে পদার্পণ করল। এই স্কুল থেকে পঠনপাঠন করে অনেক ছাত্র-ছাত্রী আজ সমাজে প্রতিষ্ঠিত। স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা স্বর্গীয় আব্দুল করিমের অবর্তমানে তাঁর সহধর্মিণী বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সুরেখা করিম আজও সমাজে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শিক্ষা বিস্তারে নিবেদিত প্রাণ। সুরেখাদেবীর পুত্র অনিরুদ্ধ খান ও তাঁর স্ত্রী শাহিদা সুলতানা সহ গোটা পরিবার হোলি মডেল স্কুলকে কেন্দ্র করে ছাত্র-ছাত্রীদের আদর্শ মানুষ গড়তে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ স্বর্গীয় আব্দুল করিমের স্বপ্ন পূরণে আজও অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন।