ভ্যাকসিন নেওয়ার পরই তিন স্বাস্থ্যকর্মীর অসুস্থ হয়ে পড়ায় বৃহস্পতিবারের মতো টিকাকরণ কর্মসূচি স্থগিত করে দেওয়া হয় দুর্গাপুরের সৃজনী অডিটোরিয়ামে। শুক্রবার ফের টিকাকরণ কর্মসূচি পূর্বনির্ধারিত ভাবে হবে বলে জানা গেছে দুর্গাপুর পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে। অপরদিকে ঝুঁকি না নিয়ে তিন স্বাস্থ্যকর্মীকে তড়িঘড়ি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে দেওয়ায় তিন স্বাস্থ্যকর্মী বর্তমানে সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সৃজনী অডিটোরিয়ামে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী করোনা টিকাকরণ কর্মসূচি চলছিল স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য। টিকা নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিন স্বাস্থ্যকর্মী মল্লিক দাস, পূর্নিমা হাজরা এবং দীপা গড়াই অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্তরা কোন রকম ঝুঁকি না নিয়ে তড়িঘড়ি অ্যাম্বুলেন্সে করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে তাঁদের ভর্তি করে দেন। মহকুমা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তিন স্বাস্থ্য কর্মীকে সঙ্গে সঙ্গে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু করে দেন। ওই তিন স্বাস্থ্যকর্মী সম্পূর্ণ সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছেন বলে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডা. ধীমান মন্ডল জানান।

এদিকে তিন স্বাস্থ্যকর্মীর অসুস্থ হয়ে পড়া দেখে বৃহস্পতিবার যে সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মী ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য সৃজনী অডিটোরিয়ামে এসেছিলেন তাঁদের অনেকে আতঙ্কিত হয়ে ফিরে যান। এই বিষয়ে দূর্গাপুর পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ রাখি তেওয়ারি বলেন, ‘ভ্যাকসিন নেওয়ার সময় প্যানিকে হয়তো তিন স্বাস্থ্যকর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের কোন ঝুঁকি না নিয়ে মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তাঁরা সম্পূর্ণ সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছেন। এই দেখে এদিন অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী যারা ভ্যাকসিন নিতে এসেছিলেন তাঁরা ভয় পেয়ে সৃজনী অডিটোরিয়াম ছেড়ে চলে যান। নিজেদের ইচ্ছায় মানুষ ভ্যাকসিন নিন। আমরা কাউকে জোর করে ভ্যাকসিন দেব না। তাছাড়া যেহেতু বৃহস্পতিবার নোডাল অফিসার ছিলেন না তাই বৃহস্পতিবারের মতো ভ্যাকসিন দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুক্রবার ফের পূর্ব নির্ধারিত ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচি হবে সৃজনী অডিটোরিয়ামে। যারা অসুস্থ হয়েছিলেন তাঁরা তিনজন সম্পূর্ণ সুস্থ ও স্বাভাবিক আছেন। তাছাড়া জেলায় বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত দেড় হাজার স্বাস্থ্যকর্মী কোভিডের ভ্যাকসিন নিয়েছেন। তাঁরা সকলেই সুস্থ আছেন তাঁদের কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।’ আসলে মনের ভয় থেকেই এই আতঙ্ক এবং অসুস্থ বোধ হচ্ছে বলে জানান পশ্চিম বর্ধমান জেলার উপস্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. কেকা মুখার্জী। তিনি বলেন, ‘আজকে ভয়ে যারা চলে গেছেন হয়তো কাল ফের তাঁরা আসবেন ভ্যাকসিন নিতে। আমরা কাউকে জোর করে ভ্যাকসিন দেব না।’

Like Us On Facebook