রাজ্যের নির্দেশ মতো জেলার যে জায়গাগুলিতে করোনার প্রকোপ বেশি সেই জায়গাগুলিকে চিহ্নিত করে কন্টেনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করার কাজ শুরু করলো পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। পূর্ব বর্ধমান জেলায় ২৪টি হটস্পটকে ‘মাইক্রো কন্টেনমেন্ট’ জোন ঘোষণা করলেন পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা। উল্লেখযোগ্যভাবে এই ২৪ টি মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোনের মধ্যে ১৪টিই রয়েছে কালনা শহরে। বাকি ১০টি রয়েছে ভাতাড়, বর্ধমান-১, পূর্বস্থলী-১, গলসি-১ ও বর্ধমান-২ ব্লকে।
পূর্ব বর্ধমান জেলাপ্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আগের মতো কন্টেনমেন্ট জোনে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড করার কথা নতুন নিয়মে বলা নেই। সেই জায়গায় নতুন নিয়মানুসারে মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোনগুলিতে বাড়তি নজরদারি চালানোর কথা বলা আছে। এবং এলাকার বাসিন্দাদের সতর্কতা মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের গ্রাফ এখন নিম্নমুখী। এই দ্বিতীয় ঢেউয়ে গত শুক্রবার প্রথমাবার জেলায় দৈনিক সংক্রমণ পঞ্চাশের নীচে নামে। এই সময়ে সংক্রমণ যাতে আর না বাড়ে তার জন্য মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন তৈরি করে নজরদারি রাখা হচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গেছে, যে এলাকায় এখনও নিয়মিতভাবে করোনা সংক্রমণ ঘটছে সেই এলাকাগুলিকে মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে স্বাস্থ্য দফতর ও পুলিশ নজরদারি চালাবে।
কালনা শহরের ভাদুড়িপাড়া, ডাঙাপাড়া, কাটিগঙ্গা, বারুইপাড়া, শ্যামলাল পাড়া, জিউধারা, যোগীপাড়া, জাপট, কাঁসারিপাড়া, মধুবন, শ্যামগঞ্জপাড়া, বড়মিত্রপাড়া ও অধিকারী পাড়াকে মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া, ভাতাড় ব্লকের বড়বেলুন রেজপাড়া, বর্ধমান-১ ব্লকের নাড়ি বেলবাগান, খাঁপুকুর শতাব্দী সরণী, সরাইটিকরের কৃষ্ণপুর পূর্ব পাড়া, বেলকাশের চাষীমানা ও মেটিয়ালি গ্রাম, বর্ধমান-২ ব্লকের স্বস্তীপল্লী ও করন্দা, পূর্বস্থলী-১ ব্লকের ফকিরতলার মুন ইটভাটা ও গলসি-১ ব্লকের মানকর ভট্টাচার্য পাড়াকে মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের তরফে।