আর কয়েক দিন পরেই রথযাত্রা, তাই উখরার জমিদার বাড়ির ১৭৯ বছরের পুরান গোপীনাথ জিউর পিতলের রথকে ঘিরে উখরায় এখন সাজ সাজ রব। ২০ ফুট দীর্ঘ পিতলের রথকে তেঁতুল-পীতাম্বরী পাউডার দিয়ে ঝাঁ চকচকে করে তুলতে ভক্তরা দিনরাত এক করছেন। সাধারণত রথে অধিষ্ঠিত থাকেন ভগবান জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। কিন্তু উখরার জমিদারদের রথে পারিবারিক রীতি মেনে কুলদেবতা গোপীনাথ জিউ অধিষ্ঠিত হন।
উখরার জমিদার শম্ভুনাথ হাণ্ডা উখরায় পিতলের রথের সূচনা করেছিলেন বলে জানান শম্ভুনাথ হাণ্ডার বংশধর তথা বর্তমান ট্রাস্টি বোর্ডের ম্যানেজিং সেবায়েত শোভন কুমার লাল সিং হাণ্ডা। শোভনবাবু বলেন, বৃন্দাবনের আদলে উখরাতেও আমাদের জমিদার বাড়িতে একই নিয়মে রাসলীলা, ঝুলন পূর্ণিমা উৎসব, দোলযাত্রা, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উৎসব, রথযাত্রা উৎসব সাড়ম্বরে পালন করা হয়। পারিবারিক রীতি অনুযায়ী রথযাত্রায় ভগবান জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার পরিবর্তে আমাদের কুলদেবতা গোপীনাথ জিউকে আমরা রথে অধিষ্ঠিত করে উখরার গোপীনাথ জিউ মন্দির থেকে ভ্রমণে বের করি। শোভনবাবু বলেন, রথের দিন রথ বের করার আগে সকলের জন্য হয় ভাণ্ডারা। প্রচুর মানুষ প্রসাদ নেন। তারপর রথের দড়িতে হাত দেন। আগে চাঁদনী বাড়িতে গোপীনাথ জিউ সাতদিন থাকতেন। তারপর উল্টো রথে ফের মন্দিরে ফিরতেন। কিন্তু বর্তমানে আমরা সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে রথের দিন গোপীনাথ জিউর রথ মন্দির থেকে বের করে ফের মন্দিরে ফিরিয়ে নিয়ে আসি। এবং ফের উল্টো রথে বের করি রথ। শোভনবাবুর দাবি, উখরার এই জমিদার বাড়ির পিতলের রথের দড়ি টানতে দেশ বিদেশের প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। গোটা উখরা উৎসবের আনন্দে মেতে ওঠে।