প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না পেয়ে অবশেষে বাড়িতে একা থাকার সুযোগে ঠোঁটে কামড় প্রতিবেশি বধূকে। রক্তাক্ত অবস্থায় বধূকে নিয়ে যাওয়া হয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। ঠোঁটের ক্ষত এতটাই গভীর যে চারটে সেলাই করতে হয়। আপাতত রোমিও যুবকের ঠাঁই হয়েছে শ্রীঘরে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধৃত যুবকের নাম রঞ্জিত কোঁড়া। তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম থানা এলাকায়। জখম বধূর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ মঙ্গলবার রাতে রঞ্জিতকে গ্রেফতার করে। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ বুধবার ধৃতকে পেশ করে বর্ধমান আদালতে। বিচারক ধৃতকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
বছর ৩৪ এর গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ি কেতুগ্রাম থানা এলাকায়। গৃহবধূর পরিবারের সকলেই খেতমজুরির কাজ করেন। বাড়িতে বধূর স্বামী, শাশুড়ি, ভাসুর, জা ও দেওর রয়েছেন। বধূ পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের সকলে কাজে বেরিয়ে গেলে তিনি বাড়িতে একাই থাকেন। তখনই রঞ্জিত তাঁদের বাড়িতে উঁকিঝুঁকি দিত। তা নিয়ে তাঁর জা ওই যুবককে একাধিকবার সতর্ক করেছিলেন। কিন্তু যুবক শোধরায় নি। বধূর অভিযোগ, উল্টে যুবক তাঁকে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়া ছাড়া কু-প্রস্তাবও দেয়। যুবকের কোন প্রস্তাবে তিনি সাড়া না দেওয়ায় বদলা নেওয়ার হুমকি দেয়। সোমবার বিকেলে তিনি ও তাঁর জা শ্বশুরবাড়িতে ছিলেন। তখনও স্বামী,ভাসুর ও দেওর কেউই কাজের জায়গা থেকে বাড়ি ফেরেননি। বধূর অভিযোগ, ওই সময়েই তাঁর শ্বশুর বাড়িতে চড়াও হয় রঞ্জিত কোঁড়া। তারপর রঞ্জিত আচমকা তাঁকে জড়িয়ে ধরে তাঁর ঠোঁটে জোরে কামড় বসিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি ঘরের মেঝেতে বসে পড়েন। সেই কথা জানতে পেরে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাঁকে কাঁদরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করায়। বধূ জানিয়েছেন, তাঁর ঠোঁটে চারটে সেলাই পড়েছে। চিকিৎসা করিয়ে বধূ তাঁদের প্রতিবেশী পরিবারের যুবক রঞ্জিতের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানালে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।