আজকের দিনে কংক্রীটের জঙ্গলে বাগান করার মত জায়গার বড়ই অভাব। আবার দূষণ নিয়ন্ত্রণে সবুজের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই শিল্পনগরী আসানসোলে স্কুলের দেওয়ালকেই বাগান করার জন্য বেছে নিল কর্তৃপক্ষ। রেলের আসানসোল ডিভিশনের ডিআরএম পিকে মিশ্রর অনুপ্রেরণায় আসানসোলের ইস্টার্ন রেলওয়ে হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের শিক্ষক ও পড়ুয়াদের উদ্যোগে স্কুলের বাউন্ডারি ওয়ালে তৈরি হয়েছে দেওয়াল-উদ্যান বা ভার্টিক্যাল গার্ডেন। আসানসোলে এই ধরণের উদ্যোগ এই প্রথম বলে জানা গেছে।
গ্লোবাল ওয়ার্মিং থেকে বিশ্বকে বাঁচাতে গাছই ভরসা। তাই বর্তমানে দেশ-বিদেশে কম জায়গায় তৈরি দেওয়াল-উদ্যান বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কংক্রীটের দেওয়ালকে সবুজে ভরিয়ে দিতে আসানসোলের বাজার এলাকায় গড়ে ওঠা প্রায় ১২০ বছরের পুরানো ইস্টার্ন রেলওয়ে স্কুলের শিক্ষক ও পড়ুয়ারাও দূষণ রোধে স্কুলের সীমানা প্রাচীরে দেওয়াল-উদ্যান গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেন। পড়ুয়ারা বাড়ি থেকে প্লাস্টিকের বোতল নিয়ে এসে সেই বোতলকে কেটে তার মধ্যে মাটি ও সার ভরে গুল্ম জাতীয় বিভিন্ন গাছের চারা বসিয়ে সেই বোতল স্কুলের সামনের দেওয়ালে সার দিয়ে আটকে দেওয়াল-উদ্যান তৈরি করেছে। দূষণ রোধে স্কুলের পড়ুয়াদের গড়ে তোলা এই দেওয়াল-উদ্যান স্থানীয় মানুষের বেশ নজর কাড়ছে। জানা গেছে, রেলের আসানসোল ডিভিশনের সমস্ত স্কুলেই এই ধরণের দেওয়াল-উদ্যান গড়ে তোলার উদ্যোগ নিচ্ছে রেল।
বর্তমানে কলকাতা সহ দেশের বিভিন্ন শহরে এই দেওয়াল-উদ্যান বেশ জনপ্রিয়। উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারে এই দেওয়াল-উদ্যানকে ‘স্মার্ট’ করে তোলা সম্ভব। বর্তমানে বিভিন্ন সংস্থা দেওয়াল-উদ্যানকে স্মার্ট করে তুলতে সেন্সরের ব্যবহার করছে। গাছে জল এবং সারের প্রয়োজন হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা দেওয়ার ব্যবস্থা থাকে। ফলে একবার এই স্মার্ট গার্ডেন বসিয়ে নিলে নিয়মিত পরিচর্যার আর প্রয়োজন হবে না। গ্লোবাল ওয়ার্মিং থেকে বাঁচতে শহরের বাড়িতে বাড়িতে দেওয়ালগুলিকে এই বাগানের মাধ্যমে সবুজ করে তুলতে পারলে বাঁচবে বিশ্ব।
বর্ধমান ডট কম-এর খবর নিয়মিত আপনার ফেসবুকে দেখতে চান?