বৃহস্পতিবার, চতুর্থীর দিন সকালে মেমারির রসুলপুর রেলগেট নতুনরাস্তা এলাকায় এক নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো। মৃতার নাম দীপিকা বৈদ্য (১৭)। রসুলপুর বৈদ্যডাঙা গালর্স স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল দীপিকা। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দীপিকা বৈদ্য’র মা তাপসী বৈদ্য সবজির ব্যবসা করেন। প্রতিদিনই ভোরে সবজি আনতে বাজারে বেরিয়ে যান। বৃহস্পতিবার ভোরেও তিনি বাজারে যান। তিনি জানিয়েছেন, যাওয়ার সময় তিনি দীপিকাকে বলেই বাড়ি থেকে বের হন। এরপর সকাল ৭ টা নাগাদ তিনি বাড়ি ফিরে দেখেন মেয়ে বিছানায় নিথর হয়ে পড়ে আছে। পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান হাসপাতালে পাঠায়। পরিবারের অভিযোগ, বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে খুন করা হয়েছে দীপিকা বৈদ্যকে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান দীপিকা বৈদ্য’কে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। যদিও খুনের কারণ স্পষ্ট নয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মেমারি থানার পুলিশ। পুজোর মুখে এই ঘটনায় গোটা এলাকায় তীব্র শোকের ছায়া নেমে এসেছে। একইসঙ্গে এলাকার মানুষজন দ্রুত অপরাধিকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন পুলিশের কাছে।