দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম ১-এর বিল্বগ্রাম অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি উজ্জ্বল ব্যানার্জী (৫২)। বিল্বগ্রামেই তাঁর বাড়ি। বুধবার সন্ধ্যায় দলীয় পার্টি অফিসের কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে বনপাশ রেল গেটের কাছে একটি চায়ের দোকানে বসে থাকার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা বোমা ছোঁড়ে। পরে লাঠি, রড, টাঙ্গি দিয়ে তাঁর মাথায় কোপানো হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে গভীর রাতে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে কলকাতার পিজিতে স্থানান্তরিত করা হয়। কলকাতা যাওয়ার পথেই ডানকুনি এলাকায় মারা যান তিনি।
এই ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ৪ জনকে আটক করেছে। মৃত তৃণমূল নেতার ভাগ্নে উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই উজ্জ্বল ব্যানার্জীকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু তাতেও ভয় পাননি উজ্জ্বলবাবু। বুধবার সকালেই তৃণমূলের একটি দলীয় বৈঠকও করেন। এলাকার সুষ্ঠ উন্নয়নের স্বার্থে ৯ জনের একটি কমিটিও গঠিত হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর গোটা এলাকায় উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। আর তাতেই কিছু দুষ্কৃতী ভয় পেয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় বনপাশ রেলগেটের কাছে প্রশান্ত চক্রবর্তীর চায়ের দোকানে বসে উজ্জ্বলবাবু দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন। সেই সময় জনা ২০ দুষ্কৃতী মুখে কাপড় বেঁধে এসে আচমকাই বোমাবাজি করতে থাকে। ভয়ে অন্যরা পালিয়ে গেলেও উজ্জ্বলবাবু পালাতে পারেননি। বোমার আঘাতে তিনি জখম হন। দুষ্কৃতীরা এরপরই তাঁকে টানতে টানতে কিছুটা দূরে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে ফেলে রেখেই পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। পরে এলাকার বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
অন্যদিকে, এই ঘটনার পর গোটা এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। আউশগ্রাম থানার পুলিশ এই খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চার জনকে আটক করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।