বনধ-অবরোধের রাজনীতি না করার পার্টি লাইন থেকে সরে এসে অ‍্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বাঁচাতে পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা দুর্গাপুর রেল স্টেশনে সোমবার অফিস টাইমে রেল অবরোধ করলেন। ফলে দুর্গাপুর রেলস্টেশনে বিভিন্ন দূরপাল্লার ট্রেন ও প‍্যাসেঞ্জার ট্রেন আটকে পড়ে। অফিস যাত্রী সহ সাধারণ রেল যাত্রীদের চরম ভোগান্তি হয়। প্রায় আধ ঘন্টা চলে রেল অবরোধ।

অ‍্যালয় স্টিল প্ল্যান্টে বিলগ্নিকরণ রুখতে এবং দুর্গাপুর বাঁচাতে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গত বারোদিন ধরে অ‍্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের সামনে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কর্মীরা ধর্না মঞ্চে লাগাতার ধর্নায় বসেছেন। ধর্না ১২ দিন হয়ে গেলেও অ‍্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার নিজেদের সিদ্ধান্তে অবিচল। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছেন, কেবলমাত্র ধর্নায় কেন্দ্রীয় সরকারের টনক নড়বে না দেখেই তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব শ্রমিকদের স্বার্থে অ‍্যালয় স্টিল প্ল্যান্ট বাঁচাতে শিল্পাঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের রেল অবরোধের মত দলীয় লাইন বিরুদ্ধ কর্মসূচি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

এদিনের রেল অবরোধ কর্মসূচিতে যোগ দেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ভি শিবদাসন, কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখার্জী ও দুর্গাপুর নগর নিগমের বিভিন্ন কাউন্সিলর, মেয়র পারিষদ, বরো চেয়ারম্যান সহ দলীয় কর্মীরা। এএসপি বাঁচাতে বনধ-অবরোধ না করার দলীয় লাইন কেন ভাঙলেন সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখার্জীর সাফ কথা, দুর্গাপুরকে বাঁচাতে এএসপি কারখানাকে বাঁচাতে আমরা ১২ দিন ধরে ধর্না মঞ্চে ধর্না চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের কুম্ভকর্ণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘুম ভাঙাতে রেল অবরোধ সহ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে যা কিছু আন্দোলন করার প্রয়োজন আছে আমরা তাই করে দুর্গাপুর ও এএসপি কারখানাকে বাঁচাবো।

উত্তমবাবু আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চক্রান্ত করে এএসপি, ডিএসপি, দুর্গাপুর থার্মাল পাওয়ার বন্ধ করতে চাইছেন। এএসপি’র পর দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা বন্ধের চক্রান্ত করবে। দুর্গাপুরের মানুষ কেন্দ্রীয় সরকারের এই নোংরা চক্রান্তের প্রতিবাদে সংগঠিত হয়েছে। যে কোন গণতান্ত্রিক প্রতিবাদের মধ‍্য দিয়ে এএসপি কারখানা আমরা বাঁচাবই।



Like Us On Facebook