বর্ধমান শহরের বাজেপ্রতাপপুরের তা বাজারের লক্ষ্মীপুজো এবছর ৪৭ বছরে পা দিল। এবারের থিম ভগবান বিষ্ণুর ‘মধু-কৈটব বধ’। উল্লেখ্য, বর্ধমান শহরে লক্ষ্মীপুজোকে কেন্দ্র করে থিমের পুজোয় গত কয়েকবছর ধরেই নজর কেড়েছে বাজেপ্রতাপপুরের তা বাজারের ব্যবসায়ীরা। মূর্তিশিল্পী দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দির বাজারের বাসিন্দা দিবাকর হালদার জানিয়েছেন, গত ৪৭ বছর ধরেই তিনি এই পুজোয় মূর্তি গড়ছেন। ‘-লক্ষ্মীনারায়ণের পৌরাণিক কাহিনীকে অনুসরণ করে প্রতিবছর বিভিন্ন থিম করা হয়। এবছর নারায়ণের মধু-কৈটব অসুরবধকেই থিম হিসাবে তুলে ধরেছেন।
তা বাজারের পুজোর উদ্যোক্তা রুপা হালদার জানিয়েছেন, এই তা বাজারেই একটা সময় ছিল হাতে ভাজা মুড়ির রমরমা। নয় নয় করেও প্রায় ২০ থেকে ২২টি পরিবার এই হাতে ভাজা মুড়ির কারবারে যুক্ত ছিলেন। যেহেতু চাল নিয়েই তাঁদের কারবার, তাই লক্ষ্মীপুজোর প্রচলন হয়। পুজো কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এবছর পুজোর বাজেট প্রায় ২ লক্ষ টাকা। করোনা পরিস্থিতির জেরে গত বছর থেকেই পুজোর জাঁকজমকে কিছুটা ঘাটতি হলেও তা বাজারের এই পুজোর রেশ চলে ছয়দিন ধরে। রাত জেগে হয় দেবীর আরাধনা। কিন্তু বর্তমানে আস্তে আস্তে এই তা বাজারে হাতে ভাজা মুড়ির রমরমা শেষ হতে বসেছে। পরিবর্তে হাতে ভাজা মুড়ির স্থান দখল করেছে মেশিনে ভাজা মুড়ি। বর্তমানে মেশিনে ভাজা মুড়ির রমরমা। কমছে হাতে ভাজা মুড়ির কদর। কিন্তু তবুও তাঁরা এই পুজোকে টিকিয়ে রেখেছেন। রূপাদেবী জানিয়েছেন, তা বাজারের এই পুজো উপলক্ষ্যে ৬ দিন ধরে নানান অনুষ্ঠান হয়। নরনারায়ণ সেবা সহ অনুষ্ঠিত হয় নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। তবে করোনার জেরে এবছর তা কতটা করা যাবে তা নিয়ে তাঁরা চিন্তিত।