রাস্তার ওপর মৌচাকে ঢিল মেরেছিল কে বা কারা। তার জেরেই রাস্তায় যানবাহন ও মানুষ চলাচল বন্ধ রইল এক ঘন্টা। মৌচাকে ঢিলের প্রতিবাদ করতেই যেন ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছিরা প্রতি আক্রমণে নামল। শুনশান হয়ে গেল রাস্তা। মৌমাছির কামড়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল স্কুল পড়ুয়া সহ অনেকেই। তাদের হামলা থেকে রেহাই পেতে পুকুরেও ঝাঁপ মারে কেউ কেউ। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতাড়ে।
ভাতাড়-কামারপাড়া রাস্তায় ভাতাড়ের চন্ডীপুর আশ্রমের কাছে বটগাছে রয়েছে বিশাল এক মৌচাক। কোন ব্যক্তি সেই মৌচাকে ঢিল ছুঁড়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এরপর ওই চাক থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছি উড়তে শুরু করে। ঠিক সেই সময় আলিনগর থেকে তিন জন ছাত্র-ছাত্রী বাড়ি ফিরছিল টিউশন পড়ে। আরও ২ ছাত্র বামুনারা হাইস্কুলে সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিল। সেই পাঁচ পড়ুয়াকই সামনে পেয়ে ঘিরে ফেলে মৌমাছির দল। তাদের সারা দেহে হুল ফোটায় ঝাঁক ঝাঁক মৌমাছি। প্রাণ বাঁচাতে পাশের পুকুরে ঝাঁপ দেয় তারা। তাদের বাঁচাতে গিয়ে স্থানীয় দুজন বাসিন্দাও মৌমাছির কামড়ে অসুস্থ হয়। এলাকার বাসিন্দারা অসুস্থ ছয় জনকে ভাতাড় হাসপাতালে ভর্তি করে।
মৌমাছিদের আক্রমণে সোমবার সকাল নটা থেকে দশটা পর্যন্ত ওই রাস্তা দিয়ে কেউ পারাপার করতে পারেনি। ওই রাস্তা দিয়ে বাইক নিয়ে যেতে গিয়ে উলটে পড়েন এক বাইক আরোহী। প্রাণ বাঁচাতে বাইক ফেলে পালাতে বাধ্য হন তিনি। আর এক বাজার করে বাড়ি ফিরছিলেন। সামনে পেয়ে মৌমাছিরা তাঁকেও আক্রমণ করে। তিনি ব্যাগ ফেলে প্রায় এক কিলোমিটার ছুটে পালিয়ে পরিত্রাণ পান। পরিস্থিতির সামাল দিতে ভাতাড় থানা থেকে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হয়। ঘন্টাখানেক পর মৌমাছি চাকে ফিরলে যান চলাচল শুরু হয়। মৌমাছির কামড়ে আক্রান্ত সকলেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।