সোমবার বিকেলে ইসিএলের পাণ্ডবেশ্বর এরিয়ার ৮ নম্বর এলাকায় ধসের ঘটনা ঘটে। ধসের ফলে এলাকার একাধিক আবাসন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আবাসনের মধ্যে যেমন ফাটল ধরে তেমনই আবাসনের পাঁচিলের একাংশ ভেঙে যায়। খনির আবাসনে ধসের কারণে আতঙ্কিত আবাসিকরা।

ঘটনার পরই আবাসিকদের মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভ তৈরি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন সংশ্লিষ্ট খনি ও পাণ্ডবেশ্বর এরিয়ার আধিকারিকদের একটি প্রতিনিধি দল। তাঁদের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন আবাসিকদের একাংশ। আবাসিকদের অভিযোগ, খনি থেকে কয়লা কেটে নেওয়ার পর সেই ফাঁকা জায়গা বালি দিয়ে ভরাট করার নিয়ম। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই কাজ ঠিকমতো হয় না বলে অভিযোগ তাঁদের। আবাসিকরা বলেন, আতঙ্ক নিয়ে এই আবাসনে আর থাকতে চাই না। তাঁদের জন্য দ্রুত অন্য আবাসনের ব্যবস্থা করার দাবি তোলেন আবাসিকরা।

খনি কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক বলেন, আবাসিকদের অন্য আবাসনে পুনর্বাসন দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবা হবে। উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে কাজোরা এরিয়ার জামবাদ এলাকায় আকস্মিক ধসের ফলে বেশ কয়েকটি পরিত্যক্ত আবাসন তলিয়ে যায় মাটির নীচে। মাটিচাপা পড়ে মৃত্যু হয় এক মহিলার। টানা দশ দিন উদ্ধারকাজ চলার পর মাটি সরিয়ে উদ্ধার হয় ওই মহিলার মৃতদেহ। আজকে খোট্টাডিহি খনি আবাসন এলাকায় ধসের ঘটনায় সেই স্মৃতি ফের উসকে দিল।

পরে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, ইসিএল আধিকারিকরা ভালো করে পর্যবেক্ষণ করে দেখুক যে এই ফাটল আরও বাড়তে পারে কিনা। যদি বাড়ার আশঙ্কা থাকে তাহলে এই সব আবাসিকদের অন্যত্র পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়াও বিধায়ক ইসিএলের গাফিলতির কথা বলেন। যেখানে কয়লা উত্তোলন করে মাটির নীচে সঠিক ভাবে বালি ভরাট করার ব্যবস্থা আছে, সেখানে ইসিএল সঠিক ভাবে সেই কাজটি না করায় এই ধরণের ঘটনা ঘটে থাকে।

 

Like Us On Facebook