দামোদর নদের তীরে পানাগড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর রণডিহাকে পর্যটন মানচিত্রে স্থান দিতে রাজ্য পর্যটন দফতর বিভিন্ন পরিকল্পনা নিল। কৃত্রিম পাহাড়, ঝর্না সহ শিশু বিনোদনের উপযুক্ত পরিবেশ, দামোদরে পর্যটকদের নৌকা বিহারের সুযোগ, সুসজ্জিত রাত্রিবাসের কটেজ সহ ইকোপার্ক গড়ে তুলতে রাজ্য পর্যটন দফতর ৩০ কোটি টাকার বাজেট ধার্য করল।
রণডিহাকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার সঙ্গে সঙ্গে রণডিহার পাশেই ভরতপুরের বৌদ্ধস্তূপটিকে কেন্দ্র করে পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ঘটানো হবে বলে জানা গেছে পর্যটন দফতর সূত্রে। জানা গেছে, রণডিহাকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে দিঘার আদলে গড়ে তোলা হবে। ২০১৯ সালের মধ্যেই রণডিহার উন্নয়নের কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি দুর্গাপুরে দামোদর ব্যারেজ সংলগ্ন দ্য দামোদর রিট্রিট রিসর্টের উদ্ধোধন করতে এসে রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব রণডিহাকে ঢেলে সাজানোর কথা বলেছিলেন। মন্ত্রীর কথার বাস্তব রূপ দিতে পর্যটন দফতরের তৎপরতা শুরু হয়ে গেছে।
দামোদরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা রণডিহা একসময় স্থানীয় দুর্গাপুর সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষের কাছে অবসর বিনোদনের জায়গা ছিল। পর্যটকদের সুবিধার জন্য পানাগড় থেকে রণডিহা যাওয়ার সব সময় বাসের সুবিধা ছিল। রণডিহা সহ ভালকি-মাচান পর্যটকরা বেড়াতে যেতেন। পর্যটকদের রাত্রি যাপনের জন্য পঞ্চায়েত ও সেচ দফতরের দুটি গেস্ট হাউস ছিল রণডিহাতে। কিন্তু রাস্তাঘাট, পথবাতি, গেস্ট হাউস ধীরে ধীরে সংস্কারের অভাবে বেহাল হয়ে পড়লে পর্যটকরাও রণডিহা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। গোটা এলাকার পর্যটন শিল্প ভেঙে পড়ে।
রণডিহাকে জনপ্রিয় পর্যটনস্থল হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে পর্যটকদের সুবিধার কথা ভেবে রণডিহার পুরানো গেস্ট হাউস দুটি নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। চলছে রাস্তা তৈরি ও সংস্কারের কাজ। পাশাপাশি পুরানো পথবাতি সরিয়ে নতুন পথবাতি বসানো হচ্ছে। রণডিহার ভোলবদল ২০১৯ সালেই হয়ে যাবে বলে পর্যটন দফতরের আশা। রণডিহার উন্নয়নে স্থানীয় মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। রণডিহার উন্নয়ন ঘটলে এলাকার মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা স্থানীয় মানুষের।