১২০ কাঠা জমির উপর দুর্গাপুরের মলানদীঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে মোড়া রূপগঞ্জে অত্যাধুনিক ও বিলাসবহুল একটি বৃদ্ধাবাস নির্মাণের কাজ চলছে জোর কদমে। ‘বৃদ্ধাশ্রম’ কথাটা এখন সেকেলে। আজকের দিনে এগুলি ‘রিটায়ার্ড রেসিডেন্সি’ নামেই বেশি পরিচিত। শেষ জীবনটা মাথা উঁচু করে নিজের আত্মসম্মান এবং আত্মবিশ্বাস নিয়ে বেঁচে থাকতে এখন অনেক প্রবীণ-প্রবীণা এই আধুনিক পরিকাঠামোযুক্ত বৃদ্ধাবাসগুলি বেছে নিচ্ছেন। সেই চাহিদার টানে বৃদ্ধাশ্রম তার পুরনো ম্যাড়ম্যাড়ে রূপ বদলে যাবতীয় পরিকাঠামো এবং বিনোদন-সমৃদ্ধ তারকা খচিত বিলাসবহুল হোটেলের রূপ নিয়ে সামনে আসছে।

মুচিপাড়ার ২নং জাতীয় সড়ক থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে রূপগঞ্জের সাত তলা এই ‘শ্রীকৃষ্ণ সেবাশ্রম’-এ দেড়শর অধিক প্রবীণ-প্রবীণা থাকতে পারবেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বয়স্করা যাতে এই আবাসনে স্বাচ্ছন্দের সঙ্গে জীবন যাপন করতে পারেন সেই লক্ষ্যে বৃদ্ধাবাসে অত্যাধুনিক জীবন যাপনের সমস্ত ব্যবস্থা থাকছে। এই বৃদ্ধাবাসে থাকছে ওঠা নামার জন্য লিফ্ট, মডিউলার কিচেন, যোগ চর্চা কেন্দ্র, বিনোদন পার্ক, মন্দির, লাইব্রেরী এবং ২৪ ঘন্টা বিশিষ্ট চিকিৎসকদের পরিষেবা। শ্রীকৃষ্ণ সেবাশ্রমের প্রতিটি রুমই অত্যাধুনিক ডিজাইনে বয়স্কদের স্বাচ্ছন্দের কথা মাথায় রেখে গড়ে তোলা হয়েছে।

বয়স্কদের শেষ জীবনটা যাতে সুখ স্বাচ্ছন্দের মধ্যে কাটে তার জন্য শ্রীকৃষ্ণ সেবাশ্রমে প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা রাখছে শ্রীকৃষ্ণ ট্রাস্ট। ট্রাস্টের প্রধান কর্তা কৃষ্ণ কান্ত ভট্টাচার্য্য বর্ধমান ডট কমকে জানান, দক্ষিণবঙ্গে এই প্রথম এই ধরণের আধুনিক পরিকাঠামোর বৃদ্ধাবাস তৈরি হচ্ছে। জীবনের শেষ দিনগুলি অবহেলায় নয় উন্নত জীবন যাপন সহযোগে আনন্দে কাটাতেই তৈরি করা হচ্ছে অত্যাধুনিক শ্রীকৃষ্ণ সেবাশ্রম। উদ্বোধনের আগেই প্রচুর সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে দাবি কৃষ্ণ কান্ত বাবুর।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমান আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে গোটা পৃথিবীতে ষাট বছর পেরিয়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ২০০ কোটি। সেই সঙ্গে বাড়বে তরুণ প্রজন্মের ব্যস্ততাও। এমন সময়ের সহায় হয়ে উঠবে শ্রীকৃষ্ণ সেবাশ্রম-এর মতো বৃদ্ধাবাসগুলিই।