ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুর পাশে দাঁড়াল মেমারির সোঁতলা মহিষডাঙা স্কুল। টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে স্কুলের প্রায় ৯৫০জন পড়ুয়া ও শিক্ষক-শিক্ষকরা প্রায় দশ হাজার টাকা তুলে দিলেন শিশুটির পরিবারের হাতে।
মহিষডাঙা এলাকার ক্ষেতমজুর শিবশঙ্কর ও মিনতি কর্মকারের মেয়ে রোশনি ছোট থেকেই চোখে কম দেখত। বছর ছয়ের রোশনি গত বছর স্কুলে ভর্তি হয়েছিল। কিছুদিনের মধ্যেই রোশনি অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং দৃষ্টিশক্তি আরও ক্ষীণ হয়ে যায়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মাথায় টিউমার ধরা পড়ে। কম বয়সের কারণে কলকাতায় চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করতে রাজি হননি বলে জানিয়েছেন রোশনির মা। এরপর বেঙ্গালুরুর একটি সেবামূলক হাসপাতালে নিখরচায় রোশনির মাথায় দু’বার অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচারের পর টিউমারে ক্যান্সার ধরা পড়ে।
বর্তমানে কলকাতার টাটা ক্যান্সার হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে রোশনির। সেখানে নিয়মিত কেমো থেরাপি সহ অন্যান্য চিকিৎসার জন্য প্রায় দু’লক্ষ টাকার প্রয়োজন। এই বিপুল অর্থ ক্ষেতমজুর পরিবারের পক্ষে জোগাড় করা প্রায় অসম্ভব। পরিবারের এই সমস্যার কথা জানতে পেরে মহিষডাঙা স্কুলের পড়ুয়ারা সকলে একজোট হয়ে নিজেদের টিফিনের খরচ বাঁচিয়ে পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর বৃহস্পতিবার স্কুলের পড়ুয়া ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা মিলিতভাবে রোশনির চিকিৎসার জন্য প্রায় দশ হাজার টাকা তুলে দেয় পরিবারটির হাতে।
এদিন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও পড়ুয়ারা রোশনির চিকিৎসায় সাহায্যের জন্য সহৃদয় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি রোশনির চিকিৎসায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আবেদন নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে শিবশঙ্করবাবুর মোবাইল নম্বরে (৯৯৩২২৪৮০৮৫) যোগাযোগ করার জন্য প্রচার চালাচ্ছে স্কুলের পড়ুয়ারা।