বিজেপির ডাকা বাংলা বন্ধে আসানসোল শিল্পাঞ্চলে জনজীবনে মিশ্র প্রভাব দেখা গেল৷ বন্ধ রুখতে শিল্পাঞ্চলে পুলিশ ও প্রশাসন প্রস্তুত থাকলেও অন্যদিনের তুলনায় রাস্তায় মানুষের সংখ্যা ছিল কম৷ অশান্তি এড়াতে মোড়ে মোড়ে পুলিশ পিকেটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়৷ তবে সরকারি, বেসরকারি বাস চললেও অন্য দিনের তুলনায় যাত্রী সংখ্যা ছিল কম। যাত্রীদের সুবিধায় বেশ কিছু রুটে অতিরিক্ত সরকারি বাস নামানো হয়৷
এদিন আসানসোলের নিয়ামতপুর মোড়ে বিজেপি সমর্থকরা বন্ধের সমর্থনে রাস্তায় টায়ার জালিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করার চেষ্টা করলে পুলিশ বন্ধ সমর্থকদের হঠিয়ে দিতে মৃদু লাঠি চার্জ করে এবং কয়েকজন বন্ধ সমর্থককে আটক করে। অন্যদিকে আসানসোলের বার্নপুরের ত্রিবেনী মোড়ে বিজেপি সমর্থকরা রাস্তায় পিচের ড্রাম ফেলে অবরোধ তৈরি করলে পুলিশ বন্ধ সমর্থকদের হঠাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি সমর্থকদের ধস্তাধস্তি হয়। পুলিশ কয়েকজন বন্ধ সমর্থককে আটক করে।
পাশাপাশি তৃণমূলের পক্ষ থেকে আসানসোলের বাজার এলাকায় বনধের বিরুদ্ধে বাইক মিছিল বের করা হয়। আসানসোলের গোপালপুর অঞ্চলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বনধ বিরোধী মিছিল বের করা হয়৷ স্থানীয় তৃণমূল নেতা শঙ্কর চক্রবর্তীর নেতৃত্বে মোদির কুশপুতুলও দাহ করা হয়। এদিন আসানসোলের রেলপার এলাকায় বন্ধের সমর্থনে বিজেপি সমর্থকরা এবং বন্ধের বিরুদ্ধে তৃণমূল কর্মীরা একইসঙ্গে পাশাপাশি মিছিল করে।