রাম মন্দিরের আদলে তৈরী সোনা ও রুপোর আংটি ও লকেট এখন হট কেক বর্ধমানে। নিখুঁত নক্সা ও কারুকার্য খচিত এক একটি আংটি ও লকেটের বিপুল চাহিদা বর্ধমানে, বিক্রিও হচ্ছে চড়া দামে।
গত ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরে রামলালার অভিষেক হতেই রাম মন্দির নিয়ে সামাজিক মাধ্যম থেকে শুরু করে জনমানসে উন্মাদনার শেষ নেই। যে উন্মাদনা থেকে বলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রী থেকে শুরু করে ক্রীড়াবিদ, রাজনীতিবিদ এমনকি বিদেশীরাও নিজেদের দূরে রাখতে পারেন নি। সেই রাম মন্দিরের ছবি দেখেই বর্ধমানের গহনা শিল্পী সুদীপ্ত দত্ত ঠিক করেন তিনি রাম মন্দিরের আদলে আংটি বানাবেন। প্রায় ৪ দিনের পরিশ্রমে তিনি বানিয়েও ফেলেন সেই আংটি এবং সেই আংটি দোকানে ডিসপ্লে করে রাখতেই চাহিদা বাড়তে শুরু করে। রাম মন্দিরের আদলে তৈরী আংটির একের পর এক অর্ডার আসতে শুরু করে। পাশাপাশি অর্ডার আসতে শুরু করে রামলালার মুর্তির আদলে তৈরী লকেটেরও।
গহনা শিল্পী সুদীপ্ত দত্ত জানান, বেশ কয়েকমাস ধরেই গহনার বাজার মন্দা যাচ্ছিল, ঠিকঠাক কাজ হচ্ছিল না। তাই রাম মন্দিরের ছবি দেখে ঠিক করি শুধু বসে না থেকে যদি রাম মন্দিরের আদলে কিছু করা যায়। সেই ভাবনা থেকেই বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর প্রায় ৪ দিনের পরিশ্রমে প্রথম একটি আংটি তৈরী করি। যে আংটিতে রাম মন্দিরের খুব সুক্ষ বিষয়গুলিও নজর রাখা হয়েছে। এরপর এই আংটি দোকানে ডিসপ্লে করতেই ক্রেতাদের মধ্য ব্যাপক চাহিদা লক্ষ্য করা যায়। একের পর এক অর্ডার আসতে শুরু করে। ইতিমধ্যেই সোনা ও রুপো মিলিয়ে প্রায় ডজন খানেক আংটি ও লকেটের অর্ডার পেয়েছি। এছাড়াও অনেকে খোঁজ নিতে আসছেন। গত ১৫ দিন ধরে এখন চরম ব্যস্ততা চলছে অর্ডারের আংটি ও লকেট তৈরী করতে।
আংটির অর্ডার দেওয়া পলাশ দে জানান, ইতিমধ্যেই আমি রাম মন্দিরে রেপ্লেকা সংগ্রহ করেছি। তারপর যখন জানতে পারলাম সুদীপ্ত দত্ত নামে এক গহনা শিল্পী রাম মন্দিরের আদলে আংটি বানিয়েছেন। এসে আংটিটা দেখা মাত্রই পছন্দ হয়ে যাওয়ায় অর্ডার করে দিই। আংটির মধ্যেই সমগ্র রাম মন্দিরটিকে সুক্ষভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যা এক কথায় অনবদ্য।
দামের বিষয়ে সুদীপ্ত দত্ত জানান, বর্তমান দাম অনুযায়ী ওজন ও আকার হিসাবে দামের তারতম্য হয়। তাই সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়। শনিবার, ২৬ গ্রাম একটি রুপোর একটি আংটির দাম পড়েছে মজুরিসহ ৪ হাজার ৫০০ টাকা। ৩১ গ্রাম একটি সোনার আংটির দাম পড়েছে মজুরিসহ প্রায় ২ লাখ টাকার কাছাকাছি।লকেটেরও দাম ভিন্ন ভিন্ন।
রাম মন্দির ও রাম লালার অভিষেক নিয়ে তর্কবিতর্কের শেষ নেই। উন্মাদনাও কোন অংশে কম নয়। এরই মাঝে রাম মন্দির ও রামলালার মুর্তির আদলে তৈরী আংটি ও লকেট যে বর্ধমানের গহনা শিল্পের মরা গাঙে জোয়ার নিয়ে এসেছে একথা বলার অপেক্ষা রাখে না।