টানা বর্ষণ ও ডিভিসির ছাড়া জলে ফুলেফেঁপে উঠেছে বাঁকা নদী। বেশ কয়েকদিন ধরেই বর্ধমান শহরের কয়েকটি ওয়ার্ডে জল জমেছে। এবার আতঙ্ক বাড়িয়ে বাঁকার জলের তোড়ে ভেঙে পড়লো নদী সংলগ্ন একটি বাড়ি। কয়েকদিন ধরেই মুষলধারে বৃষ্টি ও সেই সঙ্গে ডিভিসি জল ছাড়ার ফলে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে বাঁকা নদী। ইতিমধ্যেই জল জমেছে বর্ধমান শহরের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে। আতঙ্ক বাড়িয়ে বর্ধমান শহরের ১০ নং ওয়ার্ডের কাঠেরপুল এলাকায় বাঁকা নদীর পাড় লাগোয়া বাড়ি ভেঙে পড়ল। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিনের দাবি মতো পাড় না বাঁধানো ও নদী সংস্কার না হওয়াতেই নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ার ফলেই এই ঘটনা।
নিম্নচাপের জেরে একটানা বৃষ্টিতে দীর্ঘদিন পর বর্ধমান শহরের বুক চিরে যাওয়া বাঁকা নদীর জল উপচে পড়ে বর্ধমান পুর এলাকার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড এবং পুরসভার বাইরে বেশ কয়েকটি এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। গত দু’দিন ধরে একটানা বৃষ্টিতে রীতিমত বাঁকার জল ফুলেফেঁপে উঠেছে। যদিও এই একটানা বৃষ্টিতে বর্ধমান শহরের কয়েকটি ওয়ার্ড ছাড়া জেলার বাকি অংশে এখনও তেমন ভাবে বন্যার কোনো প্রকোপ বা জলমগ্ন হওয়ার ঘটনা নেই বলে জেলা বিপর্যয় ব্যবস্থাপন দফতর সূত্রে জানা গেছে। ওই দফতর সূত্রে জানা গেছে, এখনও পর্যন্ত গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বর্ধমান পুর এলাকার মোট ৪৯২ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, অভিযোগ উঠেছে, বিডিএ-র উদ্যোগে বাঁকা নদীর সংস্কারের কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ার জন্যই বাঁকা সন্নিহিত নীচু এলাকাগুলিতে বাঁকার জল উপচে ঢুকে পড়েছে। বর্ধমান পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার অমিত গুহ জানিয়েছেন, জলমগ্ন এলাকাগুলিতে পানীয় জলের কোনো সমস্যার খবর আসলেই পুরসভার জলের ট্যাঙ্ক সেখানে পাঠানো হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, বর্ষার আগেই পুরসভার প্রায় সমস্ত হাইড্রেন সংস্কার ও পরিষ্কার করার জন্য তেমনভাবে জল জমতে পারেনি। এই কয়েকদিনের বৃষ্টিতে যে সমস্ত এলাকায় জল জমেছে তার মূল কারণ বাঁকার জল সেখানে ঢুকে পড়ায় বৃষ্টির জমা জল সেখান থেকে বের হতে পারছে না। তিনি জানিয়েছেন, পুর এলাকার নাগরিক পরিষেবার দিকে কড়া নজর রয়েছে পুরসভার। জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গেছে, বুধবার গোটা জেলায় গড় বৃষ্টিপাত হয়েছে ২৬.৯ মিলিমিটার।