ভীষ্মের শরশয্যা থেকে কৃষ্ণের রাসলীলা, কোথাও আবার আপনি গেলে হারিয়ে যাবেন পরীর দেশে আবার কোথাও পৌরাণিক কাহিনী নিয়ে থিমের বৈচিত্রে সেজে উঠেছে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী-১ ব্লকের রাস উৎসব। শুধু তাই নয় অনেক পুজো কমিটিগুলি আবার অসহায় ও দুঃস্থ সহনাগরিকদের শীতবস্ত্র প্রদানের মতো সামাজিক কর্মকান্ডেও ব্রতী হয়েছে।
রাস উৎসবে যখন মাতোয়ারা নবদ্বীপ ও দাঁইহাট তখন ঠিক তাদের লাগোয়া পূর্বস্থলী ১ ব্লকের রাস উৎসব এখন এই এলাকায় প্রধান উৎসব বলেই পরিচিতি লাভ করেছে। যার জনপ্রিয়তা ক্রমবর্ধমান। সাবেকি ও থিম মিলিয়ে প্রায় শতাধিক রাসপুজো কমিটির পুজো ঘিরে মেতে ওঠে পূর্বস্থলী। মন্ডপের চাকচিক্যের পাশাপাশি রং-বাহারি আলোকসজ্জা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনে পুজো মণ্ডপগুলি হয়ে ওঠে জমজমাট।
বিগত বছরগুলির মত এবারেও প্যান্ডেলগুলিতে লেগেছে থিমের ছোঁয়া। পূর্বস্থলীর রাসপুজো কমিটিগুলির মধ্যে অন্যতম হল দোলগোবিন্দপুর বারোয়ারি কমিটির পুজো। ৫১ তম বর্ষে এবার তাদের থিম আসামের কামরূপ কামাক্ষ্যা মন্দির। দেবী এখানে রণচণ্ডী নামে পূজিতা হন। চারদিন ধরে চলা এই পুজোর বাজেট ৪ লক্ষ টাকা। শ্রীরামপুরের দক্ষিণ মধ্যপাড়া সূর্য সংঘের পুজো এবার ২৫ তম বর্ষে পা দিল। বাজেট প্রায় ৩ লক্ষ টাকার মতো। থিমে তুলে ধরা হয়েছে শ্রীকৃষ্ণের রাসলীলা, ভীষ্মের শরশয্যার পাশাপাশি কৃষ্ণার্জুন। দেবী এখানে কমলে-কামিনী মাতা রুপে পূজিতা হন। এছাড়াও দার্জিলিংপাড়ার গঙ্গামাতা পুজোয় রয়েছে জমজমাট আয়োজন। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ উদ্বোধন করেন এই পুজোর। বাজেট প্রায় ৮ লক্ষ টাকা। থিম স্বপ্নের দেশে, পক্ষীরাজের বেশে। এছাড়াও শ্রীরামপুরের নটরাজ, ইয়ং বয়েজের গঙ্গামাতা, কুন্ডুপাড়ার শিবশক্তি সংঘের বৈষ্ণোদেবী পুজোর জমজমাট আয়োজনে দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে। নবদ্বীপ, কৃষ্ণনগর সহ দুই বর্ধমান থেকেও বহু দর্শনার্থী রাস উৎসব দেখতে ভিড় জমিয়েছেন। রবিবার থেকেই পূর্বস্থলীতে দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশবাহিনী। ড্রোনের মাধ্যেমেও চলছে নজরদারী।