খাদ্য সঙ্কট এড়াতে পূর্ব বর্ধমান জেলার সমস্ত রাইসমিলগুলোকে খোলার নির্দেশ দিলেন জেলাশাসক বিজয় ভারতী। সোমবার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে রাইস মিলারদের বৈঠকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে সংগঠনের বর্ধমান জেলার সাধারণ সম্পাদক সুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন, জেলায় মোট ৫৩৩টি রাইস মিল থাকলেও প্রায় ৯০টি মিল নানা কারণে বন্ধ রয়েছে। বাকি রাইস মিলের মধ্যে প্রায় ৩০ টি মিল যারা গোবিন্দ ভোগের কাজ করে। বাকি প্রায় ৪০০টি রাইস মিলের মধ্যে সরকারী নির্দেশ মেনে ১৭০টি রাইস মিলের উৎপাদনের কাজ শুরু হয়েছে।
সুব্রতবাবু জানিয়েছেন, রাইস মিলের বড় সমস্যা শ্রমিক। বিশেষত পূর্ব বর্ধমান জেলায় রাইসমিলে যে সমস্ত শ্রমিকরা কাজ করেন তাঁরা বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং ২৪ পরগণা জেলা থেকে আসেন। করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সেই সমস্ত শ্রমিকরা বাড়ি চলে গেছেন। তাঁদের পুনরায় ফিরিয়ে এনে কাজে যোগদানের ক্ষেত্রেও নানান সমস্যা রয়েছে। এব্যাপারে এদিন জেলা প্রশাসনের কাছে তাঁরা আবেদন জানিয়েছেন, শ্রমিকরা যাতে নিশ্চিন্তে কাজ করতে পারেন সে ব্যাপারে সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করুক। উল্লেখ্য, করোনার জেরে গোটা দেশ জুড়ে লকডাউনে পূর্ব বর্ধমান জেলায় যাতে কোনভাবেই খাদ্যাভাব না ঘটে তার জন্য গত ২৭ মার্চ জেলার সমস্ত রাইসমিলগুলিকে নিরাপত্তার মধ্যে চালু করার বিষয়ে প্রাথমিক বৈঠক হয় জেলাশাসকের। সুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন, একটি রাইস মিল চালু করতে গেলে তার সঙ্গে আনুষঙ্গিক বিষয়গুলিও চালু করা প্রয়োজন। এদিন সেই বিষয়গুলি নিয়ে জেলাশাসক বিজয় ভারতীর সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। রাইস মিলের শ্রমিকদের নিরাপত্তার পাশাপাশি তাঁদের করোনা সংক্রান্ত নিয়মাবলী পালন ছাড়াও ধান কেনা, চাষীদের উৎসাহিত করা, ধান ও চালের গাড়ির ছাড়পত্র প্রভৃতি বিষয় নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, জেলায় কোথাও কোন চালের ঘাটতি নেই। পর্যাপ্ত পরিমাণেই চাল রয়েছে।