আগামী এক মাসের মধ্যে পূর্ব বর্ধমান জেলার হস্তশিল্পীদের জন্য স্থায়ী বিপণন কেন্দ্র চালু হতে চলেছে বলে জানিয়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলা শিল্প কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার অভিজিৎ কর। তিনি জানিয়েছেন, বর্ধমানের একটি হোটেলের সাথে কথা হয়েছে। সেখানে বর্ধমানের শিল্পীদের হস্তশিল্প স্থায়ীভাবে রাখার জন্য আলোচনা চলছে। প্রতিটি শিল্প কর্মের সাথে থাকবে তার মূল্য এবং শিল্পীর নাম ও যোগাযোগ নম্বর। মাস খানেকের মধ্যেই এটা চালু হবে বলে তিনি আশা করছেন। এছাড়াও বর্ধমানের স্টেশন লাগোয়া স্পন্দন কমপ্লেক্সে খাদির পক্ষ থেকে স্থায়ী বিপণন কেন্দ্র চালুর চেষ্টা চলছে।
বুধবার জেলা শিল্পকেন্দ্রের উদ্যোগে ২ দিনব্যাপী জেলাস্তরীয় হস্তশিল্প প্রদশর্নী ও প্রতিযোগিতা শুরু হয়। বুধবার সদরঘাটের পূর্ত ভবনে এই প্রদশর্নী ও প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু, মেন্টর উজ্জ্বল প্রামাণিক, কর্মাধ্যক্ষ জহর বাগদী, কর্মাধ্যক্ষ মিঠু মাঝি, পূর্ব বর্ধমান জেলা শিল্প কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার অভিজিৎ কর, জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক রামশঙ্কর মন্ডল প্রমুখ।
অভিজিৎ কর জানিয়েছেন, প্রতি বছরের মত এবছরও জেলা শিল্প কেন্দ্রের উদ্যোগে হস্তশিল্প সপ্তাহ পালন করা হচ্ছে। তারই অঙ্গ হিসাবে এদিন জেলাস্তরীয় হস্তশিল্প প্রদশর্নী ও প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হ’ল। চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। এবারের প্রতিযোগিতায় পূর্ব বর্ধমান জেলার ২১৬ জন শিল্পীর ২১৬ টি শিল্প কর্ম জমা পড়েছে। শিল্প কর্মগুলি দু’দিন ধরে পূর্ত ভবনের ষষ্ঠ তলায় প্রদর্শিত হবে। এর পাশাপাশি ২১৬ জন শিল্পীর মধ্যে ১৬০ জন শিল্পী প্রদর্শনীস্থলেই তাঁদের শিল্প কর্মের নমুনা প্রদর্শন করছেন। তাঁরা তাঁদের শিল্প কর্ম এখানে বসেই নির্মাণ করছেন। অভিজিৎ কর জানিয়েছেন, প্রধানত কাঁথা স্টিচ, নতুন গ্রামের কাঠের কাজ, ডোকরা শিল্প, আর্টিফিসিয়াল জুয়েলারি, টেরাকোটা শিল্প, খড় শিল্প, বনকাপাসির শোলা শিল্প সহ পূর্ব বর্ধমান জেলার পুরনো এবং ঐতিহ্যবাহী শিল্প কর্মই এই প্রতিযোগিতায় জমা পড়েছে। চারটি বিভাগে হওয়া প্রতিযোগিতায় প্রতি বিভাগে প্রথম, দ্বিতীয় এবং বিশেষ, তিন জনকে পুরস্কৃত করা হবে। পাশাপাশি চার বিভাগের বিজয়ী এই ১২ জন শিল্পীকে রাজ্য প্রতিযোগিতায় পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন অভিজিৎ কর। তিনি জানিয়েছেন, গত বছরে রাজ্য প্রতিযোগিতায় পূর্ব বর্ধমান জেলার ৫ জন পুরস্কৃত হয়েছেন।