আমাকে আমার এলাকার মানুষ ১০০ ডায়াল বলেই ডাকে। এলাকার মানুষের মোবাইলে আমার নাম হিসেবে ১০০ ডায়াল সেভ আছে। কারণ আমি আমার এলাকার মানুষের জন্য সারা বছর বিপদে আপদে ২৪ ঘন্টাই পাশে থাকি। সোমবার দুর্গাপুরে একথা বলেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। সৌমিত্র খাঁ বিষ্ণুপুরের শাসক দলের সাংসদ ছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেস থেকে দল বদলের পর তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হয় বাঁকুড়ায়। আদালতের নির্দেশে সৌমিত্র খাঁ-এর বাঁকুড়া প্রবেশের উপর আপাতত নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই বিষ্ণুপুরের বিদায়ী সাংসদের আপাতত ঠিকানা দুর্গাপুর। বিষ্ণুপুরে সৌমিত্র খাঁ-এর হয়ে প্রচার করছেন তাঁর স্ত্রী সুজাতা খাঁ।
‘মেরা পরিবার ভাজপা পরিবার’ – এই শ্লোগান কে সামনে রেখে আমার স্ত্রী সুজাতা খাঁ রবিবার থেকে বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় প্রচার শুরু করেছেন বলে জানান বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী। সৌমিত্রবাবুর দাবি, আমি আদালতের নির্দেশে হয়তো আমার এলাকায় প্রচার কাজ করতে পারছিনা। কিন্তু আমার হয়ে দশ হাজার যুবক ও বিজেপি কর্মীরা বিষ্ণুপুর লোকসভা আসন জয়ের লক্ষ্যে প্রচারে ইতিমধ্যেই নেমে পড়েছে।
সৌমিত্র বাবু নিজের ১১ বছরের রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, ‘আমার মাটি থেকেই আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছে। বাঁকুড়ার মানুষ তাই আমার সঙ্গে আছে সেটা বোঝা যাবে লোকসভা নির্বাচনের ফল বের হওয়ার পর। আর বাঁকুড়ার মানুষ বাঁকুড়ার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সুব্রত মুখার্জি ও বিষ্ণুপুরের প্রার্থী শ্যামল সাঁতরাকে তার যোগ্য জবাবও দেবে।’ সৌমিত্র খাঁ এদিন বলেন, ‘মঙ্গলবার আমি সুপ্রিম কোর্টে আপিল করব যাতে লোকসভা নির্বাচনের সময় আদালত আমাকে বাঁকুড়া প্রবেশের অনুমতি দেন। ভোটের সময় যাতে আমি দলীয় কর্মীদের সঙ্গে থাকতে পারি।’
সোমবার বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের গেস্ট হাউসে বসে সাংবাদিক বৈঠক ও বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ভোট নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে অভিযোগ তুলে পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব রিটার্নিং অফিসার তথা দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক অনির্বাণ কোলের কাছে সৌমিত্র খাঁ-এর বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।