এলাকার বাসিন্দাদের বই পড়ার প্রতি উৎসাহ বাড়ানোর জন্য রবিবার কাঁকসার গোপালপুরে ভ্রাম্যমান গ্রন্থাগারের উদ্বোধন করা হল। এদিন ভ্রাম্যমান গ্রন্থাগারের ফিতে কেটে শুভ সূচনা করেন জেলার পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন আধিকারিক তমোজিৎ চক্রবর্তী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি সমীর বিশ্বাস, কাঁকসা ব্লকের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তথা কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য দেবদাস বক্সী, গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জয়জিত মন্ডল, পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূলের জেলা যুব কমিটির সদস্য তথা কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রমেন্দ্রনাথ মন্ডল, কাঁকসা ব্লকের বিডিও সুদীপ্ত ভট্টাচার্য, দুর্গাপুর পূর্বের বিধায়ক প্রদীপ মজুমদার সহ অন্যান্যরা।
কাঁকসার গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জয়জিত মন্ডল জানিয়েছেন, বই পড়ার প্রতি এলাকার মানুষের উৎসাহ বাড়াতে তাঁরা এই ভ্রাম্যমান গ্রন্থাগারের শুভ সূচনা করেছেন। ভ্রাম্যমান গ্রন্থাগারের নাম দেওয়া হয়েছে ‘জ্ঞানের আলো’। এলাকায় বহু মানুষ আছেন যারা বই পড়তে ভালোবাসেন। তাই তাঁদের কথা ভেবে গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সরকারি প্রকল্পের পরিদর্শন করতে এসে সরকারি আধিকারিকদের বিশ্রাম নিতে যাতে কোন সমস্যা না হয় তাই তাঁদের জন্য একটি বিশ্রামাগার তৈরি করা হয়েছে সেটিরও উদ্বোধন করা হয়। একই সাথে নিত্যদিন গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে বহু মহিলা তাঁদের সন্তানকে কোলে করে নিয়ে আসেন তাঁদের নানান কাজে। কোলের শিশুর খিদে পেলে তাঁর মা পঞ্চায়েতের ভিড়ের মধ্যে শিশুকে দুধ খাওয়াতে সমস্যায় পড়েন। সেই সমস্ত মায়েদের কথা ভেবে গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে এদিন ফিডিং সেন্টার উদ্বোধন করা হয়। এর ফলে কোন মা তাঁর শিশুকে নিয়ে পঞ্চায়েতে আসলে শিশুকে মাতৃদুগ্ধ পান করাতে কোন অসুবিধা হবে না।