মন্তেশ্বর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেই ইউএসজি মেশিন, নেই এক্স-রে করার ব্যবস্থা। এমনকি রক্তপরীক্ষাও হয়না। ফলে ব্লকের ১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষকে দূর দূরান্তে গিয়ে এসবের পরীক্ষা করাতে হয়। তাই মন্তেশ্বরে ব্লক হাসপাতালেও যাতে এই সমস্ত ব্যবস্থা চালু করা যায় তার জন্য জেলাশাসকের কাছে আবেদন জানালেন মন্তেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের গ্রন্থাগার দফতরের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী।
মঙ্গলবার করোনা টাস্ক ফোর্সের সপ্তাহিক বৈঠকে যোগ দিতে মন্ত্রী জেলাশাসক দফতরে আসেন। সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী জানিয়েছেন, করোনার তৃতীয় ঢেউ রোখার জন্য কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় তা নিয়ে এদিন বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সমস্ত হাসপাতালে হেল্প লাইন নং টাঙিয়ে দেওয়ার জন্য তিনি আবেদন করেছেন। একইসঙ্গে মহকুমাভিত্তিক এব্যাপারে আলোচনা করারও আবেদন জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, মন্তেশ্বর ব্লকের অনেক রাস্তাঘাট খারাপ, সেতুর প্রয়োজন – এগুলি নিয়েও তিনি জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
জেলাশাসক জানিয়েছেন, মন্তেশ্বর বিডিও-র সঙ্গে এব্যাপারে আলোচনা করে প্রস্তাব জেলায় এলে তা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে। তিনি জানিয়েছেন, হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন করাই তাঁর কাছে অগ্রাধিকার। মন্তেশ্বরের ১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষ এই সমস্ত সুযোগ সুবিধা না পাওয়ায় দুর্ভোগে রয়েছেন। সরকারি হাসপাতালেই যাতে এই সমস্ত ব্যবস্থা চালু করা যায় তার জন্য তিনি সর্বতোভাবে চেষ্টা করবেন। এরই পাশাপাশি এদিন মঙ্গলকোটের প্রাক্তন এই বিধায়ক সোমবার তৃণমূল নেতা অসীম দাসের খুনের ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, এটা অত্যন্ত অন্যায় ও ঘৃণ্য কাজ। তিনি জানিয়েছেন, যাঁরাই এই কাজ করে থাকুক না কেন পুলিশ নিরপেক্ষভাবে কাজ করুক এটাই তিনি চাইছেন।