উত্তুরে হাওয়া বইতেই প্রতি বছর কনকনে শীতের সকালে একসময় ঝাঁকে ঝাঁকে পরিযায়ী পাখিরা দুর্গাপুর সিটি সেন্টারের ভবানী পাঠকের মন্দির সংলগ্ন ঝিলে ডেরা বাঁধত। কয়েক যুগ ধরে অতিথিদের আগমণে সরগরম হয়ে ছিল ভবানী পাঠকের ঐতিহাসিক ঝিলটি। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরেই শীতের মরসুমে পারিযায়ী পাখির দল মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে ভবানী পাঠকের ঝিল থেকে। যদিও স্থানীয় বাসিন্দারা এবছরও অধীর আগ্রহে রয়েছেন একঝলক অতিথিদের দর্শন করতে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এই ঐতিহ্যবাহী ঝিলটি সংস্কারের অভাবে কচুরিপানা, নোংরা আবর্জনা সহ ঝোপঝাড়ে ভরে উঠেছে। স্বাভাবিকভাবেই পারিযায়ী পাখিদের বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। তাই পারিযায়ী পাখির দল মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে ভবানী পাঠকের ঝিল থেকে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ‘একসময় কাকভোর থেকেই পরিযায়ী পাখিদের কলতান শোনা যেত। শীতের মরসুমে প্রতিদিন পরিযায়ী পাখিদের কলতানে ঘুম ভাঙত আমাদের। সারাদিন বিভিন্ন কাজের ফাঁকে পারিযায়ী পাখিদের যাতে কেউ ক্ষতি না করে তার খবরদারিও করতাম আমরা। গত কয়েক বছর ধরেই পারিযায়ী পাখির দল সেভাবে আর আসছে না। এবছর এখনও অতিথিরা আসেনি।’ স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি অবিলম্বে দুর্গাপুর পুরসভার এই ঝিলটি সংস্কার করে পারিযায়ী পাখিদের বসবাসের উপযোগী করে তোলা উচিৎ। দুর্গাপুর পুরসভা সূত্রে জানা গেছে, ঐতিহ্যবাহী এই ঝিলটির প্রয়োজনীয় সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্গাপুর পুরসভা। শীঘ্রই এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।