মেমারির পাত্রাগ্রামে বেহুলা নদী থেকে রাজা মালিক(২০) নামে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তাঁর দাদা ও দাদার এক আত্মীয়কে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম রামকৃষ্ণ মালিক ও রামকৃষ্ণের মামাশ্বশুর জিত বাগদি। রবিবার রাত্রে গ্রামবাসীরা বেহুলা নদী থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় রাজার দেহ উদ্ধার করেন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে মেমারি ২নং ব্লক হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এরপর রাজার বাবা খুনের অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা গেছে, সোমবারই রাজার বীরভূমের একটি মিলে কাজে যাবার কথা ছিল। সেজন্য রবিবার সন্ধ্যায় সে গ্রামেই মামার বাড়িতে দেখা করতে যাবার নাম করে বার হয়। কিন্তু রাতেও না বাড়ি ফেরায় বাড়ির লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। বেহুলা নদীর পাড়ে জীতের জুতোও পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা। এরপর জীতের দেখানো জায়গা থেকেই রাজার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় পুলিশ জিতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সম্প্রতি জিত নামে রামকৃষ্ণের মামশ্বশুর পাত্রা গ্রামে আসেন। রাজাকে দেখে তিনি তার ফাঁড়া আছে বলে জানান। তিনি ফাঁড়া কাটিয়ে দেবেন বলেও জানান।
জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ আরও জানতে পারে, বৌদির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক তেরি হয়েছে সন্দেহ করে রামকৃষ্ণ ও জিত রাজাকে সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা করে। রবিবার রাতে নদীর ধারে রাজাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয় এবং তাঁর হাত-পা বেঁধে নদীর জলে ফেলে দেয় রামকৃষ্ণ ও জিত। বুধবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে তুললে আদালত পাঁচ দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেয়।