মেমারি কলেজের ছাত্রীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার মেমারি কলেজের অভিযুক্ত শিক্ষক রবীন মজুমদার। ধৃতকে মঙ্গলবার বর্ধমান আদালতে তোলা হয়।
মৃতার পরিবারের অভিযোগ, মেমারি কলেজের বাংলা বিভাগের আংশিক সময়ের শিক্ষক রবীন মজুমদারের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে মেমারি কলেজের বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী রাহিলা খাতুন। বিবাহিত এবং এক সন্তানের বাবা হওয়া সত্ত্বেও ওই শিক্ষক তা লুকিয়ে রাহিলাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেয়। এরপর তার সঙ্গে দফায় দফায় সহবাস করে। সম্প্রতি রাহিলা তাঁকে বিয়ের কথা বললে তাকে নানাভাবে ভয় দেখান ওই শিক্ষক বলে অভিযোগ করেছেন মৃতার দিদি বিলকিস বেগম। এরপরই সোমবার সকালে বাড়িতে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়নার ফাঁসে আত্মহত্যার চেষ্টা করে রাহিলা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনার পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। অবস্থা বেগতিক বুঝে গা ঢাকা দেন অভিযুক্ত শিক্ষক। স্থানীয় মানুষজন মেমারির সোমেশ্বরতলায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বাড়ির সমানে বিক্ষোভ দেখান। তাঁকে গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির দাবি তোলেন স্থানীয়রা। রবীন মজুমদারকে গ্রেফতারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মৃতার পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ গ্রেফতার করে অভিযুক্ত শিক্ষক রবীন মজুমদারকে। মঙ্গলবার তাঁকে বর্ধমান আদালতে তোলে পুলিশ। যদিও অভিযুক্ত শিক্ষক নিজেকে নির্দোষ দাবি করে জানান, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।