৮৮ বছর বয়সেও তারুণ্যে ভরপুর। আর পুরনির্বাচনে তিনি প্রচারের মুখ হবেন না, তা কি করে হয়। নিয়ম করে এখনও প্রতিবারই বাম বিগ্রেডের সভায় যান। ২৭ ফেব্রুয়ারি মেমারি পুরসভার নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনে প্রতিদিন পালা করে বিভিন্ন ওয়ার্ডে সিপিএম প্রার্থীর হয়ে প্রচারে বের হচ্ছেন ৮৮ বছরের মহারাণী কোঙার। যা দেখে রীতিমত লজ্জা পাচ্ছেন তরুণ তুর্কিরাও। এই বয়সটা তাঁর কাছে শুধুই একটা সংখ্যা মাত্র। দল এখন প্রায় শূন্যের খাতায়। তবুও আশাবাদী তিনি। হতাশা তাঁকে গ্রাস করতে পারেনি আজও। এখনও সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেন। আর সেই স্বপ্ন পূরণের আশায় পুরভোটের প্রচারে নেমে পড়েছেন মহারানী কোঙার।
তিনি প্রয়াত সিপিএম নেতা বিনয় কোঙারের স্ত্রী। বাংলার কৃষক আন্দোলনের অন্যতম হোতা বাম নেতা হরেকৃষ্ণ কোঙারের ভাতৃবধূ। মেমারির তিনবারের বাম বিধায়কও ছিলেন মহারানী কোঙার। ৮৮ বছর বয়সে মন এখনও সতেজ। এই বয়সেও পুর নির্বাচনের প্রচারে সিপিএম প্রার্থীদের নিয়ে মেমারির বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি বাড়ি ভোট চাইছেন। বিধানসভার ফলাফলের হতাশা তাঁকে গ্রাস করতে পারেনি। দ্বিগুণ উৎসাহে পুরভোটের প্রচারে ঝাঁপিয়েছেন। মহারাণী কোঙার জানিয়েছেন, হরেকৃষ্ণ কোঙার, বিনয় কোঙার গরীবের জন্য পাড়ায় পাড়ায় ঘুরেছেন। জেল খেটেছেন। কোনওদিন হতাশ হননি। তাই তিনিও হতাশ হননা। মানুষের সঙ্গে লড়াইয়ে আছেন আর মানুষের সঙ্গেই তিনি থাকবেন। সকাল হলেই তিনি কাঁধে শীতের শাল ফেলে সোয়েটার পড়ে ঘুরছেন বাড়ি বাড়ি। কাস্তে হাতুড়ি তারায় ভোট দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছেন ৮৮’র মহারাণী।