মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রে এবার নাম জড়ালো পূর্ব বর্ধমানের মেমারির মামূন ন্যাশানাল স্কুলের। স্কুলেরই দুই উচ্চমাধ্যমিক ও দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে গ্রেফতার করল সিআইডি। রবিবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে সিআইডি।
সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, ধৃত সাহাবুল আমির ও শাহাবাজ মন্ডল ও ওই দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী হোয়াটস্ অ্যাপের মাধ্যমে গ্রুপ করে যোগাযোগ রাখত। এবং ওই গ্রুপেই আপডেট হয়ে যেত প্রশ্ন ও উত্তর। ধৃত সাহাবুল আমিরের বাড়ি মালদার কালিয়াচক ও শাহাবাজ মন্ডলের বাড়ি কাটোয়ার কৈথনে। বাকি দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মধ্যে একজনের বাড়ি মালদার কালিয়াচক ও আর একজনের বাড়ি হুগলির পান্ডুয়ায়। ধৃতরা সকলেই মামূন স্কুলের আবাসিক। ‘খোকা ৪২০’ নামে একটি হোয়াটঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে তারা একে অপরের সাথে যোগাযোগ রাখত। গ্রুপের সদস্য সংখ্যা প্রায় ৫০ জন। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রয়োজনে অন্যদের জেরা করা হবে বলে সিআইডি সূত্রে জানা গেছে।
ধৃত দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী মেমারির বাগিলা উচ্চবিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা দিচ্ছিল। মেমারির একটি লজে থেকে তারা পরীক্ষা দিচ্ছিল। সেই লজ থেকেই তাদের গ্রেফতার করে সিআইডি। তাদের জেরা করে মেলা তথ্যানুসারে মামূন স্কুলের হস্টেল থেকে গ্রেফতার করা হয় সাহাবুল আমির ও শাহাবাজ মন্ডলকে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মহ. সানাউল্লা মন্ডল জানিয়েছেন, কয়েক মাস আগেই স্কুলের নিয়ম না মানায় স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয় ওই দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে। শুধুমাত্র তাদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে তাদের মাধ্যমিকে বসার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে ধৃত ছাত্রদের মধ্যে কেউ বা কারা প্রশ্নফাঁস চক্রে জড়িত কিনা জানা নেই। যদি হয় তাহলে আইন মতাবেক তাদের শাস্তির দাবি করছি। তবে কেউ নিরাপরাধ হলে সেটাও যেন তদন্ত করে দেখা হয়।
স্কুলে মোবাইল ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। স্কুলের তরফে নিয়মত অভিযানও চালানো হয় তা সত্ত্বেও ধৃতদের কাছ থেকে কিভাবে মোবাইল পাওয়া গেল তা কিছুতেই বুঝতে পারছে না স্কুল কর্তৃপক্ষ। একের পর এক প্রশ্নপত্র ফাসের ফলে রাজ্য জুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এমনকি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকেও এবিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে হয়। তার পরে সিআইডির এই সাফল্যে জট অনেকটাই কাটবে বলে আাশাবাদি শিক্ষামহল।