দুর্গাপুরকে মডেল পৌরসভা করার আশ্বাস দিলেন তৃণমূলের বর্ধমান জেলার পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। দুর্গাপুরে বেনাচিতির লক্ষীনারায়ণ মন্দিরে বুধবার সন্ধ্যায় মারোয়াড়ি সমাজে নির্বাচনী প্রচারে এসে এই আশ্বাস দেন অরূপ বাবু। অরূপ বাবু মারোয়াড়ি সমাজে এসে মারোয়াড়িদের মন পেতে এদিন নবান্নের আদলে দুর্গাপুরের মানুষের সুবিধা অসুবিধা দূর করতে দুর্গাপুর পৌরসভাতে ছোট নবান্ন তৈরীরও আশ্বস দেন। তাছাড়া কোন সমস্যায় কারোর মধ্যস্থতা ছাড়াই যেকোন সমস্যায় সরাসরি মন্ত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের আবেদন জানান অরূপ বাবু। এদিন অরূপ বিশ্বাস ছাড়াও মন্ত্রী মলয় ঘটক সহ আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি, এডিডিএর চেয়ারম্যান তাপস বন্দোপাধ্যায়, শিল্পাঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি উত্তম মুখার্জী ও ১৪, ১৫, ১৮, ১৯ ,২০ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা হাজির হন লক্ষীনারায়ন মন্দিরে।
মারোয়াড়ি সমাজের পক্ষ থেকে তাঁদের বিভিন্ন অসুবিধার কথা শুনে পৌরনির্বাচনের তিন মাসের মধ্যেই সব সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন অরূপ বাবু। অরূপ বিশ্বাস এদিন প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে সরাসরি মন্ত্রীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করে সমস্যা সমাধান করার পথ বাতলে দেন। মারোয়াড়ি সমাজে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আরূপ বাবু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাম না করে জিএসটি সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় নীতির কড়া সমালোচনা করেন। অরূপ বাবু মারোয়াড়ি সমাজের কাছে তৃণমূলের দলীয় প্রার্থীদের জয়যুক্ত করার আবেদন রাখেন এদিন।
মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে মুখ্যমন্ত্রী এক দরজা নীতি চালু করেছেন। পৌরসভায় তৃণমূল ফের ক্ষমতায় এলে এক জায়গায় বসেই সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে। মুখ্যমন্ত্রীর বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পগুলির সুবিধাও ভোগ করবে দুর্গাপুরের মানুষ। এদিন আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি ঘোষণা করেন, তৃণমূল কংগ্রেস পৌরসভায় ক্ষমতায় এলে পৌরসভা গঠনের ১৫ দিন পর থেকেই ক্যাম্প করে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হবে ব্যবসায়ীদের। মারোয়াড়ি সমাজের পক্ষ থেকে এদিন মন্ত্রীদের হাতের কাছে পেয়ে বেনাচিতি বাজারের বিভিন্ন অসুবিধা গুলি তুলে ধরা হয়। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি রাজেশ ভট্ট বর্ধমান ডট কম কে বলেন, আমরা নির্বাচনে প্রতিনিধি রাখার আবেদন করেছিলাম কিন্তু সেই আবেদন না রাখলেও মন্ত্রীজী আজ হোম ওয়ার্ক করেই এসেছেন আমাদের কাছে। তিনি যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আমাদের এতে আমরা সকলেই খুশি।