অষ্টমীর রাতে ধান্ডাবাগে মহিলা খুনে অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করে শনিবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে হাজির করলে আদালত ধৃতের সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় বলে জানা গেছে। ধৃতের নাম প্রশান্ত ব্যানার্জি ওরফে কালু। মৃতা অঞ্জলি ব্যানার্জী সম্পর্কে ধৃতের কাকিমা। জানা গেছে, কালু গ্রেফতার হলেও খুনের মূল যার পরিকল্পনা সেই অভিযুক্ত এখনও ফেরার। ফেরার ব্যক্তি হলেন মৃতা অঞ্জলি ব্যানার্জীর মেজ মেয়ের জামাই।

৭ অক্টোবর অষ্টমীর রাতে অঞ্জলি ব্যানার্জী খুন হন নিজের বাড়িতে। তিনি দুর্গাপুর পুরসভার অধীনে স্কুলে রান্নার কাজ করতেন। স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি সরকারি প্রকল্পে পাওয়া বাড়িতে একাই থাকতেন। আর সেই বাড়ি মেজ জামাই হাতিয়ে নিতেই শ্বাশুড়িকে খুনের পরিকল্পনা করে বলে ধৃত পুলিশের কাছে কবুল করেছে বলে দাবি পুলিশের।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অষ্টমীর রাতে অঞ্জলি ব্যানার্জীর মেজ জামাই হঠাৎ করে রাতে এসে প্রশান্ত ওরফে ধৃত কালুর সঙ্গে মদ্যপান করে শ্বাশুড়ি অঞ্জলি ব্যানার্জীকে খুনের পরিকল্পনা করে। ধৃতের দাবি, প্রথমে প্রশান্ত রাজি না হলেও অঞ্জলি ব্যানার্জীর মেজ জামাই জোর করেই তাকে রাজি করায়। এরপরে রাতে অঞ্জলি ব্যানার্জীর বাড়িতে গিয়ে মেজ জামাই শ্বাশুড়িকে ডাকায় জামাইয়ের গলা পেয়ে অঞ্জলিদেবী দরজা খুলে দেন। ধৃতের দাবি অঞ্জলি ব্যানার্জী দরজা খুলতেই মেজ জামাই শ্বাশুড়ির মুখ চেপে গলা চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এবং তারপর মৃতদেহকে ধর্ষণ করে। তারপর দুজনে মৃত্যু নিশ্চিত করে ফের মদ্যপান করে নিজের নিজের বাড়ি চলে যায়। ৮ তারিখ সকালে পুলিশ কুকুর নিয়ে এসে তদন্তে নেমে প্রথমেই মৃতার কোন পরিচিত ব্যক্তি যে এই নির্মম হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে সেব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে যায় পুলিশ। সেইমতো পুলিশ প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে। শুক্রবার সেই তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মৃত অঞ্জলি ব্যানার্জীর ভাসুরপো প্রশান্ত ওরফে কালুকে আটক করে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ চালায়। জানা গেছে, পুলিশের জেরায় প্রশান্ত ভেঙে পড়ে অঞ্জলি ব্যানার্জীকে খুন ও ধর্ষণের কথা স্বীকার করে নেয়। প্রশান্তের দাবি, মৃত অঞ্জলি ব্যানার্জীর মেজ জামাই ঘটনর মূলচক্রী। পুলিশ ফেরার অঞ্জলি ব্যানার্জীর জামাইকে ধরতে জোর তৎপরতা শুরু করেছে বলে জানা গেছে।

Like Us On Facebook