কারও বাড়ি জলের তলায়, কারও আবার পরিবার রয়েছে জলবন্দি অবস্থায়, কারও আবার বাড়ির রেশনের শেষ সম্বল টুকুও শেষ। এমতাবস্থায় দ্রুত বাড়ি ফেরার তাগিদে বেশী টাকা দিয়েই বাড়ি ফেরার জন্য একমাত্র ভরসা বাসকে বেছে নিয়েও পরতে হলো চরম দুর্ভোগে। বেসরকারি বাসে ধর্মতলা থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার পথে চরম দুর্ভোগে পড়লেন বাসের প্রায় ১০০ জনের মতো যাত্রী। বাসটি শুক্রবার রাত ১১টায় ধর্মতলা থেকে শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। বর্ধমানের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় বর্ধমানের কালীবাজারের এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের কাছে খারাপ হয়ে যায় বাসটি। ভেঙে যায় পিছনের চাকার পাতি। এই অবস্থায় ঢলদীঘি পেট্রোল পাম্প এবং কালীবাজারের মাঝের রাস্তার উপর দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকে বাসটি।
বাসের যাত্রীদের অভিযোগ চালককে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘কিচ্ছু করতে পারব না, যা ইচ্ছে হয় করুন’। বাসযাত্রীদের মধ্যে রয়েছেন কয়েকজন রোগীও। একেই প্রচুর টাকা ভাড়া নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, বাসের চালকের চূড়ান্ত দুর্ব্যবহার। রাত্রি আড়াইটা থেকে সকাল এগারোটা পর্যন্ত আটকে থাকলেও কোনো রকমের ব্যবস্থা করা হয়নি বাস মালিকের পক্ষ থেকে। দফায় দফায় তাকে ফোন করা হলেও সুরাহা কিছু হয়নি। সব মিলিয়েই চরম ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা। অন্যদিকে বেমালুম গায়েব হয়ে যায় চালক ও খালাসি। যাত্রীদের ক্ষোভ জল নেই, খাবার নেই। এইসময় পাশে দাঁড়াল বর্ধমান জেলা পুলিস। এদিন ট্রাফিক ওসি চিন্ময় ব্যানার্জীর নেতৃত্বে যাত্রীদের জল এবং বিস্কুট দেওয়া হয়। ফোন করে ডাকা হয় চালক এবং খালাসিকে । অন্য বাসের ব্যবস্থা অথবা এই বাসটিকেই তাড়াতাড়ি মেরামত করে পুনরায় চালু করার ব্যাপারে কথা বলেন তিনি। অবশেষে পুলিশি সহযোগিতায় বিকাল প্রায় ৪টে নাগাদ আবার বাসটি শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।