রায়নার দেরিয়াপুরে কলকাতার বড়বাজারের ব্যবসায়ী সব্যসাচী মন্ডল খুনের ঘটনায় কলকাতার নারকেলডাঙা থেকে দু’জন সুপারি কিলারকে গ্রেফতার করলো রায়না থানার পুলিশ। ধৃতরা খুনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। সব্যসাচী মন্ডকে খুনের জন্য এদের প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা সুপারি দেওয়া হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। ধৃতদের নাম জানিশার আলম ওরফে রিকি ও সেখ সাদ্দাম।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, খুনের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিলো একটি সাদা রঙের ট্যাভেরা গাড়ি। সেই গাড়িতে করেই বেশ কয়েকজনের সঙ্গে রিকি ও সাদ্দামও এসেছিলো রায়নার দেরিয়াপুরে। গুলি করে ও কুপিয়ে খুন করার পর ওই গাড়ি নিয়ে তাঁরা ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয়। এই গাড়িটি খুনের জন্যই দু’মাস আগে কেনা হয়। গাড়িটি ১৪ বছরের পুরানো। ইতিমধ্যেই প্রায় ১৯ বার গাড়ির মালিকানা বদল হয়েছে।

সব্যসাচী মন্ডল খুনের পরেই তাঁর বাবা দেবকুমার মন্ডল এই ঘটনার পিছনে পারিবারিক শত্রুতাকেই দায়ী করেন। এবং রায়না থানায় অভিযোগও করেন। এখন প্রশ্ন তাহলে কি খুনের জন্য সুপারি নিকটআত্মীয়ই কেউ দিয়েছিলো নাকি এর পিছনে ব্যবসায়ীক কোনো শত্রুতা আছে, তা নিশ্চিত হতে চাইছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, খুনের দিন বিকেল থেকেই এলাকায় রেকি করা হচ্ছিলো। ধৃত জানিশার আলম ওরফে রিকিই গুলি চালিয়েছিলো।তারপর সব্যসাচীর দেহে প্রায় ৪৭ জায়গায় কুপিয়ে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। ধৃতদের জেরা করে বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

Like Us On Facebook