নোট সংকটে কাশ্মীরি শালওয়ালারা। প্রতিবছরের মতো এবারও কাশ্মীরি শালওয়ালারা হাজির হয়েছেন বর্ধমান শহরে। সঙ্গে নিয়ে এসেছেন শীতে আভিজাত্য ফ্যাশনে কাশ্মীরি শাল সহ অন্যান্য শীতবস্ত্র। কিন্তু বেচাকেনা নেই। হতাশ কাশ্মীরি শালওয়ালারা।

প্রতিবছরই তাঁরা শীত শুরুর কয়েক সপ্তাহ আগে হাজির হন। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে তাঁরা ছড়িয়ে পড়েন শীতবস্ত্র নিয়ে। বি সি রোডের উপরে তাঁরা খোলেন বেশ কয়েকটি দোকান। কাশ্মীরি শালওয়ালাদের দোকানগুলি ঘুরে দেখা গেল প্রচুর শীতবস্ত্রের সম্ভার কিন্তু খদ্দের নেই।

kashmiri-shawl-seller3কাশ্মীরি শাল হাউসের মালিক গোলাম রসুল বলেন,”মানুষের হাতে টাকার জোগান না থাকায় বাঙালির সৌখিনতায় ভাটা পড়েছে। ছুটির দিন রবিবারেও মাত্র ২-৩ জন খদ্দের পেয়েছি। এমন অবস্থা খরচ তুলতে পারছি না, মুনাফা তো দূরের কথা। এই মরসুমে অনেকেই আমাদের কাছ থেকে শাল কেনেন বিয়ের অনুষ্ঠানে উপহার দেওয়ার জন্য। অন্যান্য বছর এই সময় আমরা এতটাই ব্যস্ত থাকতাম যে খাওয়ার সময় পেতাম না। এবার সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র। আমি ৩৯ বছর ধরে বর্ধমানে শাল ও শীতবস্ত্রের ব্যবসা করছি। এমন মন্দা বাজার আগে কখনও দেখিনি। মোদিজী কালো টাকার বিরুদ্ধে খুব ভালো পদক্ষেপ নিয়েছেন। তাঁর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু বাজারে খুচরো টাকার যথেষ্ট জোগান রেখে নোট বাতিলের ঘোষণা করলে ভালো হতো।”

আরও এক কাশ্মীরি শাল বিক্রেতা উমর শাহ বলেন,”শীত মরসুমে দু’পয়সা মুনাফার জন্য শতাধিক কাশ্মীরিরা শীতবস্ত্র নিয়ে বর্ধমানে আসেন। কেউ দোকান খুলে ব্যবসা করেন কেউ আবার ফেরি করেন। এবার ব্যবসার হাল খুব খারাপ। খদ্দেরের হাতে টাকা নেই ফলে আমাদেরও বিক্রি নেই। এবার খুব অসুবিধায় পড়েছি।”