চিকিৎসকদের আবেদন মেনে ওঝার কাছে নয়, সাপে কামড়ানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৫ বছরের শিশুকে নিয়ে আসা হলেও চিকিৎসার চুড়ান্ত অবহেলায় প্রাণ হারাল ওই শিশু – এই অভিযোগ করলেন মৃত শিশুর পরিজনেরা। বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়ালে বর্ধমানের গুসকরা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এলাকায়। মৃত শিশুর নাম যীশু বাউড়ি (৫)। বাড়ি মঙ্গলকোটের নবগ্রামে। মৃত শিশুর বাবা ঝণ্টু বাউড়ি জানিয়েছেন, বুধবার ছেলেকে নিয়ে তিনি তাঁর শালির বাড়ি গুসকরার ইটাচাঁদা গ্রামে বেড়াতে আসেন। বুধবার রাত্রে খাওয়ার পর সকলেই ঘুমাতে চলে যান। ভোরে ঘুমন্ত অবস্থায় যীশুর ডান পায়ে সাপে কামড়ায়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা ছেলেকে নিয়ে ছুটে আসেন গুসকরা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। কিন্তু সেখানে নার্স থাকলেও কোন ডাক্তার ছিল না। ফলে কোনো চিকিৎসাই হয়নি। এমতবস্থায় তাঁরা নার্সের কাছে বারবার ছেলের চিকিৎসার জন্য আবেদন করতে থাকেন, এমনকি তাঁরা ডাক্তার না থাকায় বর্ধমান হাসপাতালে যীশুকে রেফার করারও আবেদন করতে থাকেন। কিন্তু কর্তব্যরত একজন নার্স জানান, ডাক্তার না আসায় তাঁরা চিকিৎসা করতে পারছেন না আবার রেফারও করতে পারবেন না। এইভাবে দীর্ঘ কয়েকঘণ্টা চলতে থাকার পর এদিন সকাল ৭টা নাগাদ শিশুটির মৃত্যু হয়।
এরপরেই ক্ষীপ্ত হয়ে ওঠেন এলাকার মানুষ সহ মৃত শিশুর আত্মীয়স্বজনরা। অভিযোগ, তাঁরা উত্তেজিত হয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভাঙচুরও চালান। পরে সকাল ৯টা নাগাদ তাঁরা গুসকরা স্কুলমোড়ে এনএইচ ২বি রাস্তায় মৃতদেহ নামিয়ে রেখে রাস্তা অবরোধ করেন। খবর পেয়ে আউশগ্রাম থানা এবং বর্ধমান সদর থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে হাজির হয়। পুলিশের সঙ্গে আলোচনার পর প্রায় ঘণ্টাখানেক পর অবরোধ ওঠে।