বর্ধমান থানার শক্তিগড়ের কাছে বেলনা গ্রামের এক গৃহবধুকে গত ২ বছর ধরে খুঁজে না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার ধৃত ওই গৃহবধুর স্বামীকে নিয়ে বেলনা গ্রামে ব্যাপক খোঁড়াখুঁড়ি করল পুলিশ। কিন্তু রাত পর্যন্ত চলা এই খোঁড়াখুঁড়িতেও মেলেনি ওই গৃহবধুর কোনো চিহ্ন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৩ বছর আগে বেলনা গ্রামের বাসিন্দা মুলুকচাঁদ সেনের সঙ্গে বিয়ে হয় বাঁকুড়ার আশ্রম পাড়ার বাসিন্দা পুজা সেনের। কিন্তু বিয়ের ১ বছর পর আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যান পুজা সেন। এব্যাপারে পুজার বাপের বাড়ির পক্ষ থেকে বাঁকুড়া মহিলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নামে বাঁকুড়ার পুলিশ। কিন্তু মুলুকচাঁদ সেন ফেরার হয়ে যাওয়ায় তার কোন খোঁজ পাচ্ছিল না বাঁকুড়া পুলিশ। এরপর সম্প্রতি বর্ধমান থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এরপরই তিনদিন আগে বর্ধমান থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে মুলুকচাঁদকে। তাকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলতে থাকে। এরপর বৃহস্পতিবার ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে বাঁকুড়া ও বর্ধমান পুলিশ যৌথভাবে মুলুকচাঁদের দেখানো জায়গায় খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করে। জিজ্ঞাসাবাদে মুলুকচাঁদ পুলিশকে জানায়, ২ বছর আগে বেলনা গ্রামের একপাশে একটি পরিত্যক্ত বাড়ির নিচে সে পূজাকে খুন করে পুঁতে দিয়েছে। এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত সেই জায়গায় খোঁড়াখুঁড়ি করেও মেলেনি পুজাদেবীর কোনো চিহ্ন। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান ইচ্ছাকৃতভাবেই পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে মুলুকচাঁদ। আদৌ সে পুজাকে খুন করেছে নাকি তাকে অন্য কোথাও পাচার করেছে সে ব্যাপারে পুলিশ নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে।

Like Us On Facebook